বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কের বঙ্গপাহাড় এলাকার সোনারাম ধরের তিন পুত্র প্রনব ধর, রতন ধর ও তপন ধর। তপন ধরের রহস্যজনক মৃত্যুরপর তার সম্পদ বন্ঠন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত এক যোগ ধরে বিরোধ থামছেনা। দুই ভাই প্রনব ধর ও রতন ধরের মাঝে বিরোধ এখন ব্যাপক আকার ধারন করেছে।
গতকাল কক্সবাজার শহরের এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়.সোনারাম ধরের ছোট ছেলে তপন ধর ২০০৯ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু বরণ করেন।
তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। হিন্দু ধর্মতে ওই অবস্থায় স্ত্রী মৃত স্বামীর কোন সম্পদ না পেলেও রতন ধর জালিয়াতী করে তপন ধরের স্ত্রীকে ওয়ারিশ বানিয়ে ঝিলংজার ৪ গন্ডা জমি রেজেষ্ট্রি নিয়ে নেয়।
একইভাবে ফায়ার সার্ভিস রোডের কাসেম প্লাজার ১নং নিউমুক্তা জুয়েলার্স এর ২য় শাখা তপন ধরের দোকান ছিল। সেই দোকান, সেখানে থাকা ১৫০ ভরি স্বর্ণ ও বাধাবন্ধকসহ আরো বিশ লাখ টাকা রতন ধর জোর করে নিয়ে নেয়। ওই স্বর্নের দোকানটিও বিক্রি করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রনব ধর ও তার স্ত্রী রত্নাধর নিরাপত্বাহিনতার কথা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রধান উপদেষ্টা এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান,
প্রকাশ আছে তপনধরের রহস্যজনক মৃত্যুর পেছনে রতনদরের ভূমিকা রয়েছে। ২০১৫ সালে সোনারাম দল মৃত্যুবরণ করলে তার দুই সন্তান প্রনব ধর ও রতন ধরের মাঝে পিতার সম্পদ বণ্ঠন নিয়ে বিরোধ বাড়তে থাকে।
এক প্রর্যায়ে ২০১১ সালে রতন ধরএর বড় ভাই প্রনব ধরকে উল্টো মার ধর করে জেলে পাঠায়। এর পর থেকে দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ তুঙ্গে উঠে। ২০১২ সালে এড. তপুর চেম্বারে বিরোধ নিস্পত্তির সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্য়ন্ত তা আর হয়নি।
গত ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ইং রতন ধরের সাথে সাগর, নুরুল আলম, হিমেল ধর, রাখেশ হরিজন, বাবুল জলদাশ ও বিপ্লব জলদাশ সহ আসামীরা প্রনব ধর ও তার স্ত্রী রত্না ধরসহ পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য নানান ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
১১ জানুয়ারী এবিয়ে এড. গোলাম ফারুক কায়ছার এর কাছে
নাশিল করলে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়। উল্লেখিত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী প্রনব ধরের বাড়ির দরজা ভেঙে, প্রনব ধর ও তার স্ত্রী রত্না ধর ও ছেলে-মেয়েকে মার ধর করে। ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সাথে ঘরের সিসি ক্যামরা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত ২৭ জানুয়ারী সাগরের নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আবারো হুমকি দিয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে দিতে শাসিয়ে যায়।
এবিষয়ে প্রনব ধর সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এতে তিনি জানান, প্রনব ধর (৪৭) পিতা- মৃত সোনারাম ধর, সাং- বঙ্গপাহাড়, হাসপাতাল রোড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার একজন আইন মান্যকারী লোক।
থানায় হাজির হয়ে আসামীগণ একদলবদ্ধ সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, প্রতারক, ডাকাত ও লাঠিয়াল প্রকৃতির সন্ত্রাসী লোক তাদেরকে ঘর বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। আসামীগণ দেশের প্রচলিত আইন কানুন কিছুই মানে না। সর্বদা ধরাকে সরাজ্ঞান করিয়া চলে।
তার বসত বাড়ীতে বিগত ১২/০১/২০২৫ ইংরেজী তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩০ ঘটিকার সময় ১নং, ২নং, ৩নং, ৪নং, ৫নংসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ লোহার রড, কিরিচ, দা, লোহা কাটার মেশিন, কাটা বন্দুক, কুড়াল, ও হাতুড়ি ইত্যাদি অন্ত-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে।
তার বসত বাড়ীর গেইট বন্ধ থাকায় আসামীগণ কাটার মেশিন দিয়ে লোহার গেইট কাটিয়া তার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে।
এসময় হাতুড়ি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় সজোরে বারি মারলে ঠেকাতে গেলে বারি মাধ্যায় না লেগে বাম হাতে লেগে বাম হাত ভেঙ্গে যায়। তাকে রক্ষা করার জন্য তার স্ত্রী রত্না ধর এগিয়ে আসলে, আসামীরা লোহার রড দিয়ে স্বজোরে বারি মারিলে পিঠের মেরুদন্ডে রক্তাক্ত থেতলে যায়
এবং কাটা জখম হয়।
প্রনব ধর আরো বলেন, শোরচিৎকারে তার মেয়ে অর্পণা ধর এগিয়ে আসিলে, লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি বারি মেরে সারা শরীরে রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে।
অজ্ঞাতনামা আসামীগণ বাড়ীর ৩টি সিসি ক্যামরা ভেঙ্গ ঘরের আসবাবপত্র লুঠ করে নিয়া যায়। যাহার মূল্য অনুমান ২টাকা। একইভাবে আসামীগণ লোহার গেইট কেটে বাড়ীর আসবাবপত্র ভাঙুর করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
তারা ২টি মোবাইল সেট রিয়েলমি ও বিভো জোরপূর্বক নিয়া যায়। যাহার মূল্য ৩৫হাজার টাকা। ২নং আসামীরা তার মেয়ের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন জোরপূর্ণর ছিনিয়ে নেয়। যার মূল্য ৬০টাকা। আসামীগণের মারধরে তারা শোরচিৎকার করলে আসামীগণ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় আসামীগণ এই বলে হুমকি দেয় যে, পূর্বের মামলা উঠিয়ে না নিলে, ঘটনার বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে, পরিবারের সকল লোকজনকে হত্যা করে লাশ গুম করবে। বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করবে।
এবিষয়ে আসামীগণের সহিত আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করলে, দূর্দান্ত সন্ত্রাসী প্রকৃতির আসামীগণ আপোষ মীমাংসা মানে নাই এবং লুঠ করে নিয়া যাওয়া স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল, আসবাবপত্র ফেরত দেয়নি নাই।
কোন প্রতিকার না পেয়ে প্রনব ধরের পরিবার গতকাল এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে প্রনব ধর ও তার স্ত্রী রত্না ধর বলেন, তারা নিরাপত্বাহীনতায় ভোগছেন। তারা সংখ্যা লঘু হওয়া সত্বেও নিরাপত্বা না পাওয়ায় শঙ্কিত। #