রবিউল হক রবি, ফেনী :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীসংঘের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, শেখ হাছিনা গণহত্যার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। তার শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা সরাসরি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে গণহত্যার বিচার না করার। সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ দায় এড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন গণহত্যায় অংশ নিয়েছে। মানবাতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছে, জুলুম নির্যাতন করেছে। রাজপথে অলিতে গলিতে আওয়ামী লীগ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ফেনী জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের মিজান ময়দানে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে এ জনসভা আহ্বান করা হয়।
ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্ব এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চে়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সদস্য বেলাল আহমেদ মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির রাহেনা আক্তার রানু, ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, ফেনী জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান।
ফেনী শহরে ২০১২ সালে বিএনপির সর্বশেষ জনসভা হয়েছিল। একযুগ পর লক্ষাধিক লোকের সমাগমের টার্গেট নিয়ে জেলার সর্বত্র তৃণমূল পর্যায়ে এ জনসভা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্তা বাড়াতে উৎসবের আমেজে নবীন প্রবীণ সবাই ভেদাভেদ ভুলে এক হয়েছেন বলে জানান তারা।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে সমস্ত সংস্কার জরুরী নির্বাচনমূখী সংস্কার সেগুলোর ভিত্তিতে আপনারা আলোচনা করুন এবং ঐক্যমতে আসুন। সেই সমস্ত সংস্কার বাস্তবায়ন করে আইনী সংস্কার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সমাপ্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন। আমরা হিসেব করে দেখেঠছ কোন অবস্থায় তা মে জুন মাসের বেশী যায় না।
জাতীসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে তথ্য অনুসন্ধানের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। হাছিনা এখন জাতীসংঘ স্বীকৃত সারা বিশ্ব স্বীকৃত বিশ্ব খুনি। মানবাধিকার লঙ্গনকারী বিশ্বের ঘ্রীনিত ফ্যাসিস্ট শাসক হাছিনা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের আর কোন সনদ দিতে হবে না। সারা বিশ্ববাসী সেই সনদ দিয়েছে। এখন শুধু দরকার ফ্যাসিস্ট হাছিনা এবং তার দোষরদের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার নিশ্চিত করা। মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত হয়েছে। প্রসিকিউসন মামলা দায়ের করেছে। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছি। যারা গুম খুনের শিকার হয়েছেন তারা মামলা দায়ের করেছেন। আশাকরি সমস্ত মামলার সুষ্ঠ তদন্ত হবে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী তদন্ত হবে, বিচার হবে। বিচারে যা হয় সারা দেশের মানুষ তা মেনে নিবে।