সাকলাইন আলিফ :
বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কক্সবাজার সৈকতে যেভাবে নির্মাণ কাজ চলছে তা যদি লাগাম টেনে ধরা না হয়, তাহলে এই সৈকত আর সাধারণ মানুষের থাকবে না ।ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সৈকতে পরিণত হবে।
কক্সবাজারে তথাকথিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ নেওয়া ও ব্যবহার করা ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগ কে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
কক্সবাজারের ৫১ একর, ১৫৫ একর ব্যক্তির নামে বিল্ডিং হওয়া,৭ শ,একর, ফুটবল ট্রেনিং সেন্টার সহ নানা ভাবে দখল করা বনের জমিগুলো বন বিভাগের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারের মানুষের অনেক দিনের দাবি হচ্ছে বাঁকখালী নদী কে দখল দূষণমুক্ত করা, আগে পরিবেশ কর্মী হিসেবে এসেছি, এখন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সাথে এসেছি। তারা বলছে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করবে, কোন কোন জায়গায় আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।
সরকারের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আগে প্রাধান্য দেওয়া কাজগুলো করা হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ইসিএ এলাকায় বন ও পরিবেশের অনুমতি ছাড়া কোন কিছু হলে কার কোন প্রতিষ্ঠানের এটা দেখার বিষয় না। আমি তা আগেও দেখিনি, এখনো দেখছি না, ভবিষ্যতেও দেখবো না।
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা প্রশাসককে প্রথমে ফোন করে বলছি ৫১ একরের দখল উচ্ছেদ করার জন্য।
৪/৫ মাস দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিরতার মধ্যে ছিল। এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ এসেছে। একান্নয় করে কাজ আমরা শুরু করব।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সোনাদিয়া টা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, সকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর কস্তুরা ঘাট, পেশকার পাড়া সহ কয়েকটি পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে কথা বলেন গণমাধ্যমের সাথে।
এ সময় তিনি এসব কথা বলেছেন।
বন পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব:) সাখাওয়াত হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।