আবরার চৌধুরী :
বান্দরবানের নাইকংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডিজিএফআই-এর এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় র্যাবের আরেক সদস্য গুরুতর আহত হন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর রাত একটার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে র্যাব-ডিজিএফআইয়ে যৌথ অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার রেজওয়ান দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন। এছাড়া র্যাবের এক সদস্য সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সোহেল বড়ুয়াকে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পরে রাত ২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে
নাইকংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভূট্টো এবং কোনারপাড়া শূণ্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একাধিক কমিউনিটি নেতা ( মাঝি ) জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত র্যাব সদস্যের অবস্থা আশংকাজনক। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, রাত ১০ টার দিকে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত এক র্যাব সদস্যকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার রক্তক্ষরণ হয়।
পরে তাকে রাত ২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত স্কোয়াড্রন লিডার রেজওয়ানের বিষয়ে আইএসপিআর বিস্তারিত কিছুই জানায়নি। তবে তিনি অতি সম্প্রতি কক্সবাজার ডিজিএফআইয়ের অফিসে যোগদান করেছিলেন।