বিডি প্রতিবেদক :
পর্যটন শহর কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় ইজিবাইকচালক মিজান হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলের সিম ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মাহাফুজুল ইসলাম।
গ্রেফতাররা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লী সিটি কলেজ এলাকার মৃত মুহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে শফি আলম (২০), একই এলাকার আলী আহমদের ছেলে জাহিদ হোসেন (১৯) ও বিজিবি ক্যাম্প এলাকার মাহমুদুল করিমের ছেলে কলিম উল্লাহ সাকিব (১৮)।
গ্রেফতারদের মাঝে শফি আলমের কাছ থেকে মৃত টমটম চালক মিজানের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সিম ও হত্যায় ব্যবহার করা দুটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, মহেশখালীর কুতুবজোমের ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আনসার উল্লাহর ছেলে মিজানুর রহমান (২৬) টমটম (ইজিবাইক) চালাতে তার মামা মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে কক্সবাজার এসেছিলেন। শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মামা মোহাম্মদ হোসেন ভাড়ায়চালিত টমটমটি বাসটার্মিনালের গ্যারেজে ভাগিনা মিজানসহ রাখতে যাচ্ছিলেন। পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্প প্রধান সড়কের আমগাছ তলা জনশূন্য এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় দাঁড়ানো ৫-৬ জন যুবক তাদের গতিরোধ করেন। তৎক্ষণাত তারা মামা-ভাগিনাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা মোবাইল, মিজানের পকেটে থাকা ৮শ ও মামার পকেটে থাকা ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেন। নিজের মোবাইল ও টাকা বাঁচাতে মিজান এক ছিনতাইকারিকে জাপটে ধরলে তার পেছনে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়া ভাগিনাকে বাঁচাতে মামা হোসেন এগিয়ে গেলে তাকে প্রহার করে ছিনতাইকারিরা। এ সময় ডাকাত বলে হোসেন চিৎকার করলে তাকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে চক্রটি পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, অন্য পথচারীদের সহায়তায় মিজানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজান দিনগত রাত ১টার দিকে মারা যান।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা আনসার উল্লাহ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিহতের মামা হোসেনের দেখানো মতো এ তিন তরুণকে গ্রেফতার করে। বাকি সহযোগীদেরও ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন এসপি মাহফুজুল ইসলাম।
ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) অলক বিশ্বাস এবং কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) দুর্জয় বিশ্বাস, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আলম, শাকিলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপর বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব অপরাধীদে গ্রেফতার করা হবে।