নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক ফোরকানের দখলে রির্জাভ বনভূমি অর্থ্যাৎ সরকারি সম্পদ।যে কারণে তার বিরুদ্ধে ১০টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী-আবুল কালাম,উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত ইসলাম আহমদের ছেলে।তিনি ওয়ার্ড আ''লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলাকার সচেতন এবং প্রতিবাদী ব্যক্তি।তাই সরকারি সম্পদ রক্ষায় নিঃস্বার্থে অভিযোগটি দায়ের করেছেন।দায়েরকৃত দপ্তরগুলো হলেন-মাননীয়,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রসচিব,বন ও পরিবেশ মন্ত্রী,বন ও পরিবেশ সচিব,প্রধান বন সংরক্ষক-ঢাকা,বন সংরক্ষক-চট্রগ্রাম,বিভাগীয় বনকর্মকর্তা কক্সবাজার,জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপার।
দায়েরকৃত অভিযোগের মূল বক্তব্য হলো-জবর-দখলকারী,ইয়াবা ব্যবসায়ী ফোরকান,উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা-হাসিনা পাড়া এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে।তার বিরুদ্ধে একাধিক বন মামলা রয়েছে।যার মামলা নং-বন-১১২/১৮,৯৮/১৮,৪১/২০,৯৮/২০,৬৯/২১,১০৮/২১,১১২/২১ সহ চলিত বছরের জানুয়ারীতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন বনবিভাগ।যার সব ক'টি মামলা ওয়ারেন্ট রয়েছে।এরপরও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে দহরমমহরম সম্পর্ক আছে।বন মামলা ওয়ারেন্ট থেকে জেলাস্হ বনবিভাগের বিভিন্ন অফিস তিনি যান,কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।বনভুমিতে তার ২টি পাকা,২টি সেমিপাকা ভবন রয়েছে।এছাড়াও সরকারি বনভুমি ক্রয়বিক্রয় গাছ কর্তনে পাচার,রেলওয়ের টেন্ডার গাছ চুরিতে অঢেল টাকা-পয়সা সম্পদের মালিক।নিজেই প্রায় ৭একর বনভুমি দখল রেখেছেন।অবৈধ টাকা দিয়ে তিন টনা পিকআপ গাড়ী,নিজের ব্যবহারে জন্য মোটরসাইকেল,প্রাইভেট কারও রয়েছেন।গত ৭জানুয়ারী তার দোকান আর ব্যক্তিগত অফিস ভবনের পিছনে লাগোয়া অর্ধশত বছরে গর্জন কাটায়,সংবাদও প্রচার হয়।তার গাড়ী দিয়ে ইয়াবা পাচারকালে হাতেনাতে গাড়ীসহ তার ছোটভাই আব্দুল করিম ধরাও পড়েছিল।তাছাড়া সেই করিমের বিরুদ্ধে বন-২৮/২১,৬৫/২১,৬৯/২১,৯৫/২১,৩০/২১ সহ গেল জানুয়ারীতে আরেকটি বন মামলা রয়েছেন।
দখলবাজ ফোরকানের ছোটভাই সোলতানের বিরুদ্ধে বন-৫২/১৭,৩৪/২১,৯৫/২১ মামলা রয়েছেন।আরেক ভাই জসিমের বিরুদ্ধে বন-১০৪/১৯,২৮/২১,৭৫/২১,৮৭/২১,১১০/২১,৩৪/২১,৯৫/২১,৫৪/২১ মামলা রয়েছেন।গত ২০২২সালে শেষের দিকে প্রায় ডজন মামলার আসামী ফোরকানকে চকরিয়া থানার পুলিশ ধরে হ্যান্ডকাপ পরার পরে,তার অস্ত্রধারী বাহিনীরা এসে পুলিশ জিন্মি করে,মারধর করে তাকে নিয়ে যায়।পরে স্হানীয় চেয়ারম্যান হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করে দেন।সেই ভ্যান চালক থেকে সম্প্রীতি সময়ে বনরাজা হওয়া ফোরকানকে অদৃশ্য শক্তির জোরে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ।এখনো সখ্যতা বনকর্মী ও কর্তাবাবুদের সাথে।অভিযোগকারী অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাচাই না করে আপোষ নেওয়ার জন্য চলছে দৌঁড়ঝাপ।আাবেদনকারী সহ তার পরিবারকে জিন্মি করে অভিযোগ আপোষ নিতে ২ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।বনরাজা ফোরকানের জন্য দিন হলো রাত আর রাত হলো দিন।
নাম প্রকাশে অইচ্ছুক কযেকজন কর্মকর্তারা জানান,ফোরকান সহ তার আরো ৩ভাইয়ের বিরুদ্ধে বন মামলা রয়েছেন।ফোরকানের জন্য বনকর্মীরা আরো বন ধ্বংসকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে ব্যর্থ হয়।আমরা চাকরি করতে এসেছি,জীবন দিতে আসেনি।