বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুষ্কৃতিকারিরা 'অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার ৬ ঘন্টা পর' এক রোহিঙ্গার জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, রোববার ভোর ৫ টায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ই-ব্লকের জনৈক খায়রুল বশরের বসত ঘরের পাশে পতিত জায়গা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছৈয়দ আলম (৪০) উখিয়ার বালুখালী ৮-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লকের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার রাত ১১ টায় উখিয়ার বালুখালী ৮-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দ আলমকে ৮ থেকে ১০ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতিকারি অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাতে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাননি।
" এক পর্যায়ে রোববার ভোরে বালুখালী ৮-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লকের এ-৫০ ব্লকের বাসিন্দা জনৈক খায়রুল বশরের বসত ঘরে পাশে পতিত খালি জায়গায় স্থানীয়রা এক ব্যক্তি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জবাই করা এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। "
ওসি বলেন, " কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দুষ্কৃতিকারিরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারপরও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। "
নিহতের মৃতদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান শেখ মোহাম্মদ আলী।