সাকলাইন আলিফ :
বাংলাদেশের উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে কক্সবাজারে কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানের বরজ ,আমন ধান ,শীতকালীন আগাম শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আরেকটা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিতে দিশার হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি সেক্টরের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উঠতি আমান ফসলের।
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার বাসিন্দা পান চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, মাত্র কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত পানের বরজ টা একটু দাড় করানোর সাথে সাথে আবার আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে। এতে আমার বরজ টা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়ার পশ্চিম বড় বেওলা এলাকার কৃষক ইকরাম বলেন, আমার আমন ধানগুলো পাকার শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবগুলো ধান পড়ে গেছে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। কোন কৃষি অফিসার ও আসেনি এখনো মাঠে।
রামু উপজেলার গর্জনিয়া এলাকার কৃষক রহিমুল্লাহ উল্লাহ বলেন, শীতকালীন আগাম শাকসবজির চাষ করছিল। মনে করছিলাম অগ্রিম সবজি বের হলে কিছু টাকা পাব। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে সব শেষ হয়ে গেছে।
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, আমার এলাকার কৃষকরা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজির অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করেছি। আমরা তাদের নানাভাবে সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কবির হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে কক্সবাজার জেলায় ২০ হেক্টর পানের বরজ, ১৪৫ হেক্টর আমন ধান, ১৮০ হেক্টর শীতকালীন আগাম শাকসবজি ও ১১ হেক্টর সরিষা চাষের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।