বিডি প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতার বাড়িতে চলছে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে। এ প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণের ফলে সেখানকার অনেক মানুষ তাদের পেশা হারিয়েছে। জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে মাতারবাড়ি টু কক্সবাজার যাতায়াত করতে করতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে বসে আছে।
পেশা হারানো মানুষগুলোকে পূর্ণবাসনের কথা ছিল কর্তৃপক্ষের। দুটি প্রকল্পে যাতায়াতের কারণে এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। নিজের এলাকার মানুষকে পূর্ণবাসন করতে না পারায়। নির্মানাধীন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসটি আমরা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ! (পোস্টটি জনস্বার্থে)
প্রকল্পে কি হচ্ছে—এখন? আজ একটি বছর মাতার বাড়ীর মানুষের কোন খবর নিচ্ছেন না।পূনর্বাসনে এখনও অনেক ন্যায্য পাওনা বাকি রয়ে গেছে। আমি জানি বেড়ীবাঁধ, পানি নিস্কাশন,বেকারত্ব,রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা যাবতীয় ক্ষতির মূল কারণ কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ।তার যথাযত তথ্য প্রমান আমি দিব। জনস্বার্থে ফোন দিলে ফোন ধরেন না।এস, এম, এস করলে রিপ্লে দেন না। অনুরোধ করলে আমলে নেননা। মনে করেন মাতার বাড়িতে কোন মানুষ জন নেই।জানি পার্সোনাল দালাল আছে আপনাদের, ওদের দৌরাত্ম বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।প্রকল্পে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা গেইটে দাঁড় করিয়ে রাখেন।মনে রাখবেন দিন শেষে মাতার বাড়ি বাসিরই প্রয়োজন হবে আপনাদের।
জনাব মেঘাপ্রকল্প বাস্তবায়নের সাবাসি নিচ্ছেন নিজেরা,লাভবান হচ্ছেন নীরবে। কিন্তু যাঁদের বিচক্ষণতার বদৌলতে টুশব্দ আওয়াজ হয়নি,প্রকল্পের ৭০% কাজ শেষ করেছেন তাঁদের প্রতিপক্ষ ভাবেন আপনারা। অনতিবিলম্বে এসবের সমাধান নিশ্চিত করোন।পীঠ এখন দেয়ালে সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।