বিডি প্রতিবেদক,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আলমগীর চৌধুরীর নির্দেশ অমান্য করেই সবুজবাগের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ভরাট করে ব্যক্তি-মালিকনার রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ রাসেলের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মোঃ রাসেল,পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার। হাজী নুরুল আলমের ছেলে।
অভিযুক্ত জায়গাটি পৌরশহরের সবুজবাগ জামে মসজিদের লাগোয়া।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা যায়,সবুজবাগ হয়ে প্রবাহিত দীর্ঘদিনের ড্রেনটি স্হানীয় প্রভাবশালী মোঃ রাসেল ভরাট করে,নিজের চলাচল রাস্তা হিসেবে তৈরী করেছে।এই কারণে বর্ষার মৌসুমের বৃষ্টির পানি চলাচলের চরম ব্যাঘাত ঘটবে।ফলে পৌরসভার সবুজবাগ, হাসপাতাল পাড়া, খোদারকুম ও থানা রাস্তার মাথা এলাকার শতশত ঘরবাড়ি,দোকানপাট,মার্কেট ও হাজারো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ার আশংকা বিদ্যামান বলে জানান স্থানীয়রা।
স্হানীয়রা জানান,ড্রেনটি ভরাট করাকালে আমরা বিষয়টি মেয়র ও সচিবকে অবগত করি।
এবিষয়ে পৌর-নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ মোরশেদ জানান,স্হানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়র মহোদয় ঘটনাস্থলে গিয়ে রাসেলকে ড্রেন ভরাট না করার জন্য নির্দেশ দেন।সেই সঙ্গে বিল্ডিং কোড আইন ও পৌরসভার নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত অনুমতিপত্রের নিয়মাবলি ও শর্তাবলী লঙ্ঘনের দায়ে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ রাসেলকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ রাসেল বলেন,আমার জায়গায় বিল্ডিংয়ের মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তাটি তৈরি করছি। পাইলিং এর কাজ শেষ হলে রাস্তাটি তুলে নেওয়া হবে।
চকরিয়া পৌর-মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন,পৌরসভার পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের দীর্ঘদিনের ড্রেনটি পূণরায় সংস্কার কাজ শীঘ্রই শুরু করবো।এখন পশ্চিম পাশের কাজ শেষ করা হচ্ছে।এমতাবস্থায় স্হানীয় রাসেল নাকি ড্রেনটি ভরাট করার অভিযোগ পায়।তখন আমি সরেজমিনে গিয়ে তাকে নিষেধ করি।এরপরও কেন সে তার কাজ অব্যাহত রেখেছে।সে জন্য তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি।সর্বপুরি সে রাস্তা বানালেও,এসব ভেঙ্গে ড্রেনটির আগের মত করব।তবও এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।