শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

রোহিঙ্গা আগমনের ৫ বছর আজ :প্রত্যাবাসন কতদূর?

নিউজ রুম / ৫০ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
আজ ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়ার রোহিঙ্গাদের এ দেশে আসার পাঁচ বছর পূর্ণ হল আজ। কক্সবাজারের ৩৪ টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চললেও থমকে আছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। সেই সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে বাড়ছে নানা রকমের অপরাধ। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা রকম অপরাধের সাথে। ফলে দিন দিন এই অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের মুখে প্রাণে ভয়ে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এর আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ মোট শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ লাখের বেশি,এতে করে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।
গত পাঁচ বছরে ক্যাম্পে জন্ম দিয়েছে আরও ১লাখ রোহিঙ্গা শিশু। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পে এসব রোহিঙ্গাদের বসতি।

আজ কাল ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ঢলের ৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। রোহিঙ্গা ঢলের দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও তাদের ফেরত পাঠাতে দফায় দফায় নানা উদ্যোগ কোনো কাজে আসেনি। সংকট নিরসনে খুব একটা তৎপরতা নেই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের। ফলে আদৌ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে কি-না, তা নিয়ে ধুয়াশার মধ্যে আছে সরকারও।
যদি ও সরকার বলছে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার কর্তৃক নির্যাতন এবং বলপ্রয়োগের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গারা এখন দেশের গলার কাঁটা।রোহিঙ্গারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনাখুনি ছাড়াও মাদকের ব্যবসা,অপহরণ ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।তাদের কারনে বিষিয়ে উঠেছে স্থানীয়দের জনজীবন। গত পাঁচ বছরে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহসহ শতাধিক হত্যা কাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।যদিও বিভিন্ন সংস্থা বেসরকারি তথ্যমতে পাঁচ বছরে ক্যাম্পে ১২০টির বেশি হত্যা কাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়াও এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে প্রায় আট হাজার একরের বেশি বনভূমি ধ্বংস হয়েগেছে। বিপর্যয় ঘটেছে পরিবেশের ও। এ কারনে বৃদ্ধি পেয়েছে পাহাড় ধসের ঘটনাও। এতে প্রাণহানির মত ঘটনাও ঘটেছে প্রতিবছর।

অভিযোগ আছে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা মুখে বললেও ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে। যাতে করে আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করে প্রত্যাবাসন ঠেকানোর। খোদ রোহিঙ্গারা এমন অভিযোগ তুলেছেন।

রোহিঙ্গা নেতা হামিদ হোসেন ও জহির উদ্দিন, বলেন, দীর্ঘ সময় প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারনে অনেক রোহিঙ্গারা এখন ভুলতে বসেছে যে তাদের একটি দেশ আছে।

তারা বলেন, মিয়ানমার আসলে রোহিঙ্গাদের আর ফিরিয়ে নিবে সে বিশ্বাস আমাদের (রোহিঙ্গাদের। উঠে গেছে। আর রোহিঙ্গারাও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাখাইন ফিরে যেতে রাজি হবে না।

হামিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ক্যাম্পে এখন খুনাখুনিসহ যে বিশৃংঙ্খলা ঘটছে খবর নিলে দেখবেন এতে মিয়ানমার সেনা বাহিনীর মদদ রয়েছে।ইয়াবা ব্যবসায়ী রোহিঙ্গারা প্রায় সবাই মিয়ানমার সেনা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করছে। একই কথা বলেছেন রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকেই।

এরপরও পাঁচটি দাবি যদি মিয়ানমার সরকার মেনে নিলে রাখাইননে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের দায়িত্বশীল নেতা ও সাধারণ রোহিঙ্গারা।

দাবিগুলো হলো- যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনঃএকিভূতকরণ, মিয়ানমারের বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন বাতিল, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রত্যাবাসনের পর আইডিপি ক্যাম্পের পরিবর্তে নিজস্ব গ্রামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ ও বসবাসের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।

রোহিঙ্গাতে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা :

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শুধু আমার এলাকায় ৮লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। তাদের কারনে স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। রোহিঙ্গারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলবেঁধে বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়দের তুলে নিয়ে মারধর করছে।অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে।

তিনি বলেন,২০১৭ সালে নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের কারনে আগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি ইয়াবার বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দীর্ঘ পাঁচ বছরও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় রোহিঙ্গারাও তাদের যে একটি দেশ আছে তা ভুলতে বসেছে। এ ছাড়াও রোহিঙ্গাদের কারনে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি স্থানীয়রা কর্মসংস্থান হারিয়েছে বেকার হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে স্থানীয়দের রোহিঙ্গা অভিশাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

কক্সবাজার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম তথ্যমতে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত থানায় ১ হাজার ৯০৮টি মামলা হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৯৯টি। তিনি বলেন, খুনোখুনি, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মানব পাচার, অগ্নিসংযোগসহ ১৪ ধরনের অপরাধে কারনে এসব মামলা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন সংস্থা ও স্থানীয় তথ্যমতে অনন্তপক্ষে ১২০টির বেশি হত্যাকেণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক এডিআইজি হাসান বারী নুর বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের দাবি দাওয়া পূর্ণ হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছে।এর আগে তারা কোনভাবে ফিরে যাবে না বলে জানাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে ১৬ এপিবিএন।এখন ক্যাম্প মোটামুটি শান্ত রয়েছে বলে দাবি তার।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর অব. মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হয় মিয়ানমার সরকারই রোহিঙ্গাদের কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়ে ও সহযোগীতা করে ক্যাম্পে খুনাখুনি বা সন্ত্রাসবাদ করছে।কারন তারা বিশ্বাবাসীকে দেখাতে চায় রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী। রোহিঙ্গদের করানে স্থানীয়রাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এবং মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে করে স্থানীয়রা ধীরে ধীরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদ সন্ত্রবাদ থেকে চিরতরে মুক্তির এক মাত্র সমাধান হচ্ছে প্রত্যাবাসন। তবে এই মুহূর্তে দ্রুত প্রত্যাবাসন খুব দুরূহ ব্যাপার।
এ জন্য কূটনৈতিক তৎপরত বৃদ্ধি করার তাগিদ দেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কতদূর?

সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট ও
জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত মিস নোয়েলিন হেজার। তাদের কাছে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছে।

ক্যাম্প পরিদর্শনে তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়েন।তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কখন কিভাবে হবে এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, প্রত্যাবসন বিষয়টি দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমরা শুধু রোহিঙ্গাদের মানুষিকভাবে প্রস্তুুতি করাসহ নানা বিষয়ে কাজ করছি। যে কোন সময় প্রত্যবাসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা শতভাগ প্রস্তুুত রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু না হলেও আপাতত ক্যাম্পে চাপ কমানোর জন্য ১লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫জারের অধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যাবাসন আদৌ হবে কিনা, হলেও তা কখন শুরু হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে এম আবদুল মোমেন বলেন, এ মুহুর্তে এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নাই। তবে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছেে। তাই তাদের দ্রুত প্রত্যবাসন কারা গেলে আমরা অন্তত বাঁচি।
তিনি আরও বলেন, চিন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সময় হলে আপনাদের জানানো হবে।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে থাকার কারণে নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন রোহিঙ্গারা। এ প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের মাঝে ও। ফলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা দিনদিন ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে।
তাই এসব রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াটাই মূল সমাধান বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করছে এমন সংস্থার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসন ইস্যুতে গত জানুয়ারিতে যে বৈঠক করেছে, তাতে নতুন আশার কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে ৮ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারের কাছে; কিন্তু মিয়ানমার এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের কাছাকাছি রোহিঙ্গাদের ভেরিফিকেশন করেছে। বাকিদের চূড়ান্ত ভেরিফিকেশন করতে কত দিন লাগাবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনা অভিযান শুরু হলে রোহিঙ্গা ঢল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল লক্ষাধিক। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। গত পাঁচ বছরে এক লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে। ফলে তাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
#####


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর