বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরে অপরাধ সংঘটনের পর পালিয়ে ‘তাবলিগ জামাতের চিল্লায়’ অংশগ্রহণ করে আত্মগোপন শেষে ফেরার সময় চকরিয়ায় অভিযান চালিয়ে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব; পরে গ্রেপ্তারদের তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি একটি পিস্তল, দেশিয় তৈরী একটি বন্দুক ও নয়টি গুলি।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ একটি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদলের সদস্য। সন্ত্রাসী দলটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের হয়ে বাড়ী, জমি ও হোটেল দখলসহ নানা অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করতো।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব—১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তাররা হল, মো. জাহেদ হোসেন ও ইয়াছিন আরাফাত। তারা কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়া ইসলামাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার মধ্যরাতে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ৯ মার্চ রাতে কক্সবাজার সদরে ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়া ইসলামাবাদ এলাকায় ভূমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও গোলগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী সরওয়ার আলম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
“ এ ঘটনার রেশ না কাটতেই গত ১১ মার্চ রাতে একদল সন্ত্রাসী সরওয়ার আলমের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ এবং মামলার বিষয়টি র্যাবের নজরে আসে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। “
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “ ঘটনার পর থেকে জড়িত সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন চলে যায়। এরই অংশ হিসেবে ঘটনায় জড়িত দুই সন্ত্রাসী তাবলিগ জামাতের চিল্লায় অংশ নেয়। সোমবার মধ্যরাতে তারা তাবলিগ জামাতের চিল্লা থেকে কক্সবাজার শহরে ফিরছিল। এক পর্যায়ে তারা চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালি এলাকায় পৌঁছলে গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে র্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার করেছে। “
সাজ্জাদ হোসেন জানান, পরে গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কাটা পাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটি চাপা অবস্থায় বিদেশি একটি পিস্তল, একটি দেশিয় তৈরী বন্দুক ও নয়টি গুলি পাওয়া যায়। “
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।