শিরোনাম :
ঈদগাঁওতে বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যা অনরার দু:খ কষ্ট বুঝিলইবার লাই ও আইস্সে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব, শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রতি ব্লকের ৭০ রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাদের তৈরি শিল্পকর্ম দেখলেন জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দর ও খুরুশকুল পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা চকরিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের জীপ খাদে পড়ে পুলিশ সদস্য নিহত, এসআইসহ আহত ৪ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: গুতেরেস রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব আছিয়ার ধর্ষকদের সবোর্চ্চ শাস্তির দাবিতে পেকুয়ায় ছাত্রদের মানববন্ধন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব, শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা

নিউজ রুম / ১ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন

রহমান তারেক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে তারা সরাসরি উখিয়ার বর্ধিত ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান।
সেখানে তারা রোহিঙ্গা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মিয়ানমারে তাদের ওপর চালানো গণহত্যার মর্মস্পর্শী বর্ণনা শোনেন।
বর্ধিত ক্যাম্প ২০, এইচ/২, ব্লক-৩-এর বাসিন্দা বদর আলম বলেন, ‘‘আমাদের মাঝিরা (রোহিঙ্গা নেতা) জাতিসংঘ মহাসচিবকে মিয়ানমারের অত্যাচারের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। কিভাবে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, চোখের সামনে স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে—সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের দেওয়া শর্তগুলো মেনে নিলে আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি। এই বিষয়টি জাতিসংঘ মহাসচিব ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা।’’
লার্নিং সেন্টারের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার কারণ জানতে চান। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন।
এরপর তারা রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বিকেলে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করার কথা রয়েছে।
এই সফরকে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের নতুন বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর