শিরোনাম :
মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ : আরসা প্রধান আবু আম্মার আতাউল্লাহ জুনুনী গ্রেপ্তারের খবর সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আতংক কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি রশিদনগরে বিএনপির মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান কক্সবাজার শহরে ‘ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের’ বিক্রির টাকার লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধর ও ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত ঈদগাঁওতে বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যা অনরার দু:খ কষ্ট বুঝিলইবার লাই ও আইস্সে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব, শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রতি ব্লকের ৭০ রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাদের তৈরি শিল্পকর্ম দেখলেন জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দর ও খুরুশকুল পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে দিনাজপুরে আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের ১২ জনকে গ্রেফতার

নিউজ রুম / ৫০ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে:পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগে আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনিং রিক্রুট কনেস্টবল (টিআরসি) নিয়োগের ৬টি এডমিট কার্ড,১০০টাকা মূল্যমানের ৯টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪ টি ফাঁকা চেক,৫০ হাজার টাকা এবং প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত একটি হাইএস মাইক্রোবাস।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা একটার দিকে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার সন্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা আইসিটি এন্ড মিডিয়া শাখার পক্ষে পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ জানান,
গ্রেফতারকৃতদের মধ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের ৬ পরীক্ষার্থী,একজন ভুয়া (প্রক্সি) পরীক্ষার্থী ও প্রতারক চক্রের মুলহোতা পজিরুল ইসলাম সহ ৫ জন আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের সদস্য রয়েছেন।
এরা হলেন,ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে পজিরুল ইসলাম (৪৩),একই উপজেলার সালান্দর কচুবাড়ী গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে মো. রকুনুজ্জামান ((৩০)জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিপন ((৩৫),একই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মহসিন আলম (৩৫),দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ধর্মপুর কৈকুড়ি গ্রামের মো. ফিরোজ আলীর ছেলে মো. আব্দুল কুদ্দুস(৩৮),নীলফামারী সদর উপজেলার বেড়াভাঙ্গা রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিশকাতুল ইসলাম (২৩), রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার হেলেঞ্চার সালটিপাড়া গ্রামের মো. নাজমুন হকের ছেলে নাহিদ ইউসুফ (১৮),একই উপজেলার সালটিপাড়া গ্রামের বাটুল সরকারের ছেলে শাহরিয়ার সরকার(১৮),ফুলচৌকি গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো.রাজা মিয়া (১৮),
রংপুর কোতয়ালী থাননাধীন দক্ষিণ হরিদাতপুর এলাকার মো.করিমুল ইসলামের ছেলে মো. মিস্টার রহমান(১৮), গঙ্গাচরা থানাধীন দশভাইপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মো. মোহাইমেনুল (১৮) ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানাধীন রামধন গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (১৮)।
পুলিশ সুপার জানায়,বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনিং রিক্রুট কনেস্টবল (টিআরসি) নিয়োগে দিনাজপুর জেলায় ১১ ফেব্রুয়ারি হতে ১৩ ফেব্রুয়ারি (তিনদিন) শারীরিক মাফ ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে প্রায় ৪ হাজার প্রার্থী অংশ নেয়। পরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ১৭ জন নারী সদস্য সহ ১১৪ জন পুলিশ কনেস্টবল পদে নিয়োগে সু্যোগ পেয়েছেন।
কিন্তু,আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যরা কৌশলে লিখিত পরীক্ষায় প্রকৃত প্রার্থী শহিদুল ইসলামের পরিবর্তে
ভুয়া প্রক্সি প্রার্থী মো. তারেক রহমান
দিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা খায়। এ ঘটনায় তারেক রহমানের স্বীকারোক্তি মতে প্রকৃত পরীক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম ও আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের মুলহোতা পজিরুল ও মো. মহসিন সহ ৪ জনের নামে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের হয়। এর আগে নাঈম উদ্দীন নামে এক প্রার্থীর নিয়োগে প্রতারণা কালে ৩০ জানুয়ারি দিনাজপুর শহরের আল রশীদ নামে এক আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেফতারের পর কোতয়ালী থানায় আরেকটি মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ এই দুই মামলার সুত্র ধরে আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের হোতা ও সদস্যদের ধরতে চিরুনি অভিযান চালায়।
জালিয়াত-প্রতারক চক্র তা টের পেয়ে বার বার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। তারা নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়ে অন্যের মোবাইল ফোন এবং হোয়াট এপ এর মাধ্যম সংকেতিক বার্তায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। দিনাজপুর পুলিশের চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ( ২২ ফ্রেব্রুয়ারি) রাতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে আবাসিক হোটেল আমজাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল
অভিযান চালিয়ে প্রথমে ৮ জন ও তাদের স্বীকারোক্তি মতো আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই প্রতারক চক্র অত্যন্ত সক্রিয় ধুরন্ধর। তারা চাকুরি প্রার্থীর ছবির সাথে ভুয়া পক্সি প্রার্থীর ছবি কম্পিউটারে এডিট করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সমন্ন করতেন। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পরে লিখিত পরীক্ষায় অন্য ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে পক্সি দেয়াতো।
দিনাজপুর পুলিশ এমন আন্তঃজেলা জালিয়াতি-প্রতারক চক্রের হোতা সহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার ছাড়াও দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ), মোমিনুল করীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) শেখ মো.জিন্নাহ আল-মামুন, গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) পরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম,কোতয়ালী থানা পরিদর্শক তানভিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর