শিরোনাম :
মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ : আরসা প্রধান আবু আম্মার আতাউল্লাহ জুনুনী গ্রেপ্তারের খবর সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আতংক কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি রশিদনগরে বিএনপির মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান কক্সবাজার শহরে ‘ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের’ বিক্রির টাকার লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধর ও ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত ঈদগাঁওতে বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যা অনরার দু:খ কষ্ট বুঝিলইবার লাই ও আইস্সে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব, শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রতি ব্লকের ৭০ রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাদের তৈরি শিল্পকর্ম দেখলেন জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দর ও খুরুশকুল পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

দেশে এই প্রথম প্রান্তিন পর্যায় থেকে এগ্রিসাপ্লাই চেইনে যুক্ত হলো  ব্যাংকিং সেবা

নিউজ রুম / ৯৩ বার পড়ছে
আপলোড : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
প্রান্তিক কৃষকদের ডিজিটালী লোন প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে উখিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম তুলাতলিতে শুরু হলো ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং এর পথ চলা।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাধীন রত্নাপালং ইউনিয়নের তুলাতলি ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টারে  খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)- এর সহযোগিতায় ই-ফার্মারস বাংলাদেশের লি:(ই-ফার্মার)-এর তত্বাবধানে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং- এর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় শাখাটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রবার্ট ডি সিম্পসন কান্ট্রি ডিরেক্টর, ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অব ইউনাইটেড ন্যাশন। তিনি ফিতা কেটে এবং এজন কৃষকের ১০ টাকার একাউন্ট খোলার  মধ্য দিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং এর শাখাটি উদ্বোধন করেন।  তুলাতলির এই উদ্যোগ বাংলাদেশে নজির স্থাপন করলো। ব্যাংক সরাসরি পৌছে গেলো কৃষকের দোড়গোড়ায়। একই সাথে বাংলাদেশে এগ্রো- সাপ্লাইচেনের একটি বড় মিসিং এক্সেস টু ফাইন্যান্স টু দ্যা মার্জিনাল ফার্মার, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এই মিসিংটা সংযুক্ত হলো যা পরীক্ষমূলক ভাবে পাইলটিং করা হচ্ছে এইখানে।যার মাধ্যমে কৃষকদের ১০ টাকার একাউন্ট খোলা, সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ- কার্ডের মাধ্যমে  লোন প্রদানের মাধ্যমে তাদের উৎপাদনকে গতিশীল করার কাজ চলবে।
এগ্রো ব্লকচেইন-চালিত ইকোসিস্টেম বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে কৃষি খাতের নেটওয়ার্ক।”রুরাল টু গ্লোবাল ” – গ্রাম হতে শহরে( দেশ এবং দেশের বাইরে) কৃষিপণ্য আথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষি পন্য পৌছনোর ব্যাবস্থা করা।
কৃষক,নারী কৃষক, কৃষক পরিবার ও এগ্রিগেশন সেন্টার(কৃষকের বাজার), ভেন্ডর সবার একাউন্ট থাকবে ব্যাংকে। বিক্রিলব্ধ টাকা যার যার একাউন্টে চলে যাবে। ই-ফার্মার এর “এ”কার্ডের মাধ্যমে কৃষক ট্রাঞ্জেকশন করতে পারবেন।একই সাথে ই-ফার্মার ইউনাইটেড নেশনস ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO) এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় স্মার্ট অ্যাগ্রিগেশন সেন্টারের মাধ্যমে সংগঠিত কৃষকদের গোষ্ঠীক্র কৃষকদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য কাজ করছে ই-ফার্মার। এগ্রো ব্লকচেইন-চালিত ইকোসিস্টেম বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে কৃষি খাতের নেটওয়ার্ক।”রুরাল টু গ্লোবাল ” – গ্রাম হতে শহরে( দেশ এবং দেশের বাইরে) কৃষিপণ্য আথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষি পন্য পৌছনোর ব্যাবস্থা করা।  
এখানে উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি অগ্রাধিকার এলাকা এটি। সংস্থাটি স্থানীয় কৃষকের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি, জীবিকা নির্বাহ ও সহায়তার জন্য কাজ করছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপরীতে পরিবার ও সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্তরে স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বন্ধ পরিকর তারা। ২.৬৫ মিলিয়ন স্থানীয় জনসংখ্যার সাথে জেলাটিতে ৩৪টি অস্থায়ী শিবিরে বসবাসকারী প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা সহ বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরের জীবন যাত্রার মান বাড়াতেও কাজ করছে তারা। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য।
ই-ফার্মার FAO-সমর্থিত ডিজিটাল ভিলেজ উদ্যোগের সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের ডিজিটাল ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করবে। এ ছাড়াও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য কৃষি রূপান্তর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে ই-ফার্মার।গ্রামে বসে প্রতিটি কৃষি পরিবার তার স্মার্টফোন কিম্বা যাদু পিসির মাধ্যমে তার উৎপাদিত পন্য দেশে এবং দেশের বাইরে বিক্রি করেতে পারবে। এতে করে কৃষক সঠিক মূল্য পাবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষক ক্ষেত্র স্কুল,কৃষকদের জন্য ব্যবসায়িক সহায়তা, জলজ পালন, পশুসম্পদ উৎপাদন এবং পশু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা।  

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কৃষক গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করতে এবং তাদের ডিজিটাল বাজার ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ই-ফার্মার। FAO-সমর্থিত রেজিস্টার্ড অ্যাগ্রিগেশন সেন্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (ACMC) এর সহযোগিতায় ই-ফার্মার ভূমিকা পালন করছে এজেন্ট ব্যাংক আউটলেট পরিচালনায় এবং কৃষকদের গোষ্ঠীকে (A-কার্ড অনন্য মডেলের মাধ্যমে) ঋণ সহায়তা পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা এজেন্ট ।

এক নজরে এ-কার্ড মডেল:
★প্রকল্প কর্তৃক কৃষক দল গঠন ও প্রশিক্ষণ
★ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষকদের অন্তর্ভূক্তিকরণ
★উপকরণ বিক্রেতা চিহ্নিত করণ ও এ কার্ড বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান
★প্রকল্প, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাঝে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা
★কৃষকগণের ব্যাংকে হিসাব খোলা ও এ-কার্ড প্রাপ্তি
★উপকরণ বিক্রেতাগনের নিকট থেকে কৃষকদের এ- কার্ড ঋণের মাধ্যমে কৃষি উপকরণ ক্রয়
★এজেন্ট ব্যাংকের বুথে কৃষকগণের ঋণ পরিশোধ (ছয় মাস মেয়াদে)

প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ কে সফল করতে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সবুজ বিপ্লব থেকে স্মার্ট বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।  স্মার্ট কৃষি চলমান স্মার্ট বিপ্লবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।  আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপায়ে কৃষিতে আধুনিকীকরণ এবং উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।

গত কয়েক দশকে কৃষিপণ্যের ব্যাপক উৎপাদন বেড়েছে।এর সুফল কৃষকের কাছে পৌছুতে হলে দরকার প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকেন্দ্রিক  বাণিজ্যব্যবস্থার প্রসার ঘটানো। কৃষকভিত্তিক বাণিজ্যে সার, বীজ, সেচের মতো প্রত্যক্ষ বিষয় ছাড়াও উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত করণ প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষি উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে কৃষক ও কৃষক পরিবারের অংশগ্রহণ নিশ্চত করার মাধ্যমে কৃষকের ভাগ্যোন্নয়ন করতে কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি ডিরেক্টর,কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কক্সবাজার, ড. বিদ্যুত কুমার মহালদার, সিনিয়র প্রগ্রাম এডভাইজার, এফএও;  জাহিদুজ্জামান সাঈদ, কো-ফাউন্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ই-ফার্মাস বাংলাদেশ লিঃ; শিকদার আক্তারুজ্জামান, চেয়ারম্যান, ডিজিটাল ট্রী বাংলাদেশ লি:;  জাকির হোসেন ভূইয়া- ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এফ আই এফ এল, ব্যাংক এশিয়া লিঃ;  সালমা রহমান, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং, চট্টগ্রাম;  রাজিব ধর, এফএভিপি এন্ড হেড অব ব্রাঞ্চ,ব্যাংক এশিয়া লিঃ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এফএও এর কর্মকর্তা , মুফাজ্জেল হোসেন, হটিকালচার ও এগ্রি-বিজনেস স্পেশালিষ্ট ও মোকসেদ আলী, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট;  সোহেল উদ্দীন- ম্যানেজার কক্সবাজার জিলা ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং।
মেম্বার কামাল হোসেন সভাপতি, এগ্রিগেশন সেন্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  খাইরুল আলম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর