বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে দস্যুদের কর্তৃক সাগরে ফেলে দেওয়া চার জেলের মধ্যে দুইজন উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অপর দুইজন।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে রোববার মধ্যরাতে একজন এবং সোমবার সকালে একজনকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের ট্রলারে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধাররা হল- কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল এলাকার দেলোয়ার হোসেন এবং নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা সদরের মোহাম্মদ জিয়া।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন- নোয়াখালী জেলার অলি আহমদ এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল এলাকার মো. আনিস।
উদ্ধার ও নিখোঁজেরা সকলেই কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল এলাকার বাসিন্দা মো. জকরিয়ার মালিকাধীন এফবি হাসান নামের ট্রলারটির জেলে।
গত শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে কক্সবাজার উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরের ১৪ বিউ নামক এলাকায় এফবি হাসান সহ চারটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে বাধা দিলে এফবি হাসানের ১৯ জেলের মধ্যে চারজনকে সাগরের পানিতে ফেলে দেয় দস্যুরা।
তবে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কারও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার জেলেদের বরাতে বোট মালিক নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ চার জেলে সাগরের পানিতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভাসছিলেন। এক পর্যায়ে অন্য ট্রলারের জেলেরা রোববার মধ্যরাতে নিখোঁজ দেলোয়ার হোসেনকে এবং সোমবার সকালে মোহাম্মদ জিয়াকে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধার দুইজনেই এখন নিজেদের বাড়ীতে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।
দেলোয়ার জানান, উদ্ধার হওয়াদের তথ্য মতে ঘটনার পর নিখোঁজ অপর দুই জেলেকেও সাগরের পানিতে ভাসতে দেখলেও তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে- তা নিশ্চিত নন।