নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিন একাডেমী এলাকা থেকে ৫টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের মাঠ সহ পাশের টিলা শ্রেণির পাহাড়ে ভাঙ্গন সৃষ্ঠি হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সড়ক দিয়ে বালি ভর্তি ডাম্পার চলাচলায় সৃষ্ঠ ধুলায় শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে ব্যাঘাত হচ্ছে। শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিন একাডেমী পরিচালনা পরিষদের সদস্য পরিচয়ে এসব বালি উত্তোলন করছে উখিয়ার জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি। এসব বালি উত্তোলন বন্ধ ও ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বৈধভাবে বালি মহাল ইজারাদারেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিন একাডেমীর মাঠের পাশে বিশাল বালির পাহাড়। একের পর এক ডাম্পার বালি ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। বালি ভর্তি বিপুল পরিমান ডাম্পার গাড়ী চলাচলের কারনে ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক। বালি ভর্তি ডাম্পার চলাচলের কারনে সৃষ্ঠ ধুলায় জন চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী সহ স্থানীয়দের নানা ভাবে ব্যাঘাত সহ পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। অপরদিকে পাশের পানি চলাচলের ছড়া থেকে ৫টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের মাঠ সহ পাশের টিলা শ্রেণির পাহাড়ে ভাঙ্গন সৃষ্ঠি হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুনিয়াপালং ইউনিয়নে ৩টি বালি মহাল রয়েছে। যা প্রতি বছর ইজারার মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব অয় হয়। এসব বালি মহালের ১৪২৯ বাংলা সনের বৈধ ইজারাদার হলো- ধোঁয়া পালং বালি মহাল ইজারাদার কে.এম রহিম উদ্দিন, ধেচুয়াপালং বালি মহাল ইজারাদার আহমুদুল করিম রুবেল ও দারিয়ার দিঘী বালি মহাল ইজারাদার কামাল উদ্দিন। উক্ত ইজারাদারেরা শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিন একাডেমী এলাকা থেকে ৫টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,
অনাবৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বর্ষকালে অতি ¯্রােতে যেমন ঠিক মতো বালু উঠানো যায়না, তেমনি গ্রিষ্ম মৌসুমে বালিমহাল ছড়াগুলোতে সেচ প্রকল্পের বাঁধ থাকায় বালি উঠানো দুষ্কর ও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এসব কারনে ইজারার মেয়াদ ঘনিয়ে আসলেও ইজারা নেয়া অর্থ আয় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর উপর শহীদ এটি এম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপিন একাডেমীর পরিচালনা কমিটির ভূয়া সদস্য পদ ও বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রদান করে উখিয়ার জাহাঙ্গীর আলম নামক এক ব্যক্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যম উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত জায়গা হতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। এভাবে দিনরাত ইজারা বহির্ভুত নদী ও পাহাড় কেটে পরিবেশ ক্ষতি সাধন ও সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও পরিবহনের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও অনতিবিলম্বে অবৈধ বালি উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানানো হয়।