ছাগল বাদামের পরিত্যক্ত পাতা খাওয়ায় পিটিয়ে মারলো পাঁচ সন্তানের জননীরে
মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
কুলছুমা বেগম (৪০)। স্বামী নুর মোহাম্মদ। কুলছুমা আর নুর মোহাম্মদ দম্পতির পাঁচ সন্তান রয়েছে। তার মধ্যে একটি দেড় বছর বয়সি শিশু সন্তানও রয়েছে।
কুলছুমা বেগম একটি ছাগল লালন-পালন করতো। ওই ছাগল ক্ষমার অযোগ্য একটি অপরাধ করেছে। যার জন্য জীবন দিতে হলো তার গৃহকর্তী কুলছুমা বেগম। শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরাজপুরের ৮নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলি এলাকায়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো.হানিফ বলেন, একই এলাকার মো.হারুন মাতামুহুরী চওে কিছু এলাকায় বাদামের চাষ করেছে। সম্প্রতি ওই বাদাম তুলছে হারুণ। বাদামের গাছ থেকে বাদাম ছিড়ে পরিত্যক্ত পাতাগুলো বাড়ির উঠানে রেখেছে।
পাশর্^বর্তী কুলছুমার পালিত ছাগল হারুনের উঠানে গিয়ে পরিত্যক্ত বাদামের পাতা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন কুলছুমার ছাগলটি বেঁধে রাখে। ছাগল বেঁেধ রাখায় বিচার নিয়ে আসে কুলছুমার স্বামী নুর মোহাম্মদ। পরে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করে দিয়ে ছাগলটি নুর মোহাম্মদকে ফেরৎ দিয়ে দিই। এরপর আমি বাড়িতে চলে আসার পর জানতে পারি কুলছুমকে মারধর করেছে হারুনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম ঘঁনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাগল বাদামের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছিলো। আমার মেম্বার তার সমাধাণও করেছে। কিন্তু এরপরও কুলছুমাকে মেরে ফেলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
তিনি আরও বলেন, কুলছুমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর কওে হত্যা করা হয়েছে। আমি এঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের পাশাপাশি আমার পরিষদের চৌকিদার-দফাদারদের আসামীদের ধরতে সহযোগিতা করার জন্য বলেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, কুলছুমাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বেশ কয়েকটি জখমের চিহৃ রয়েছে। বর্তমানে কুলছুমার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেলে রয়েছে।###