শিরোনাম :
কক্সবাজার শহরে ‘ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের’ বিক্রির টাকার লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধর ও ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত ঈদগাঁওতে বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যা অনরার দু:খ কষ্ট বুঝিলইবার লাই ও আইস্সে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব, শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রতি ব্লকের ৭০ রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাদের তৈরি শিল্পকর্ম দেখলেন জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দর ও খুরুশকুল পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা চকরিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের জীপ খাদে পড়ে পুলিশ সদস্য নিহত, এসআইসহ আহত ৪ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: গুতেরেস রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ভুমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে চকরিয়া

নিউজ রুম / ৬১ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
ভুমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা। আগামী ২২ মার্চ (বুধবার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্টানিকভাবে এই ঘোষনা দিবেন। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উত-জ্জামান, চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস.এম নাসিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার, উপজেলা টেকনিশিয়ান এরশাদুল হক ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধিনে চকরিয়া ভুমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে মোট ৮’শ ৭৪ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে ৬’শ ৮২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে। তারা সেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।
বাকি ১’শ ৯২ টি ঘর আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্টানিকভাবে হস্তান্তর এবং উপজেলাকে ভুমিহীন ও গৃহীহীন মুক্ত ঘোষনা করবেন।
আরও জানা গেছে, সেমিপাকা এসব ঘরে দুটি বেড রুম, একটি রান্না ঘর, একটি বাথরুম এবং একটি বারান্দা রয়েছে। এছাড়া এসব পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, ৮’শ ৯২টি ঘর নির্মান করতে চকরিয়া উপজেলার ১নং খাস খতিয়ান থেকে প্রায় ২০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই উদ্ধার করা জমি থেকে প্রতিটি পরিবারকে ২ শতক জমি দলিল এবং খতিয়ানসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্টানিকভাবে চকরিয়াকে ভুমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষনা দিবেন।
তিনি আরও বলেন, এসব ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো যাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে সেজন্য তিনটি সমবায় সমিতি গঠন করে দেয়া হয়েছে। ১২৯টি পরিবারকে পুষ্টি বাগানের আওতায় আনা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪৫জনকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় ভাতার অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর যাতায়াতের সুব্যবস্থার জন্য রাস্তা ও সংযোগ সড়কগুলো ডিপিপিতে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।###


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর