জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আদালতের নি অমান্য করে,সংখ্যালঘুর জমি দখল ও মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যদন্ডবিধি ১৪৪ ধারার মামলা দায়ের করেন-সংখ্যালঘু মন্টু চন্দ্র দে গং।যার মামলা নং-এম,আর-২০২৬/২৩ইং।
মামলার বাদী-মন্টু চন্দ্র দে,ডুলাহাজারা ইউনিযনের ৮নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়াস্হ হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত মোহন বাশীর ছেলে।
মামলায় বিবাদী করেন-একই ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাজী জাবের আহমদের ছেলে মোঃএরশাদ আলী ও আব্দুর রহিম সহ একই ইউনিয়নের বৈরাগীরখিল গ্রামের মৃত বদিউল আলমের ছেলে বাবুইয়া।
ভূক্তভোগি মামলার বাদী মন্টু চন্দ্র দে গংরা জানান,তাদের পিতা মৃত মোহন বাশী নামে আরএস ৭৮ খতিয়ানে ৪.৪৩ একর জমি ছিল।পিতার মৃত্যূের পরে বিএস জরিপ আসে।তখন মৃত মোহন বাশীর ৫সন্তানের নামে উক্ত জমি বিএস রেকর্ড হয়,যার বিএস খতিয়ান নং-৭৬৫।এই বিএস খতিয়ানের অনুকূলে বিএস ৬৩০৬ নং দাগের ১৬ শতক,বিএস ৬২৮৯নং দাগের ৯শতক ও বিএস ৬৩০৭ নং দাগের ১০শতক জায়গা আছেন। গত ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর বিবাদীগংরা আমাদের ৩৫ শতক জমি জবর-দখল করে মাটি ভরাট করেছেন।
তখন তাদেরকে আমি ও আমরা বাঁধা দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি।ফলে বিবাদীর বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা আমাদের জায়গাটুকু মাটি দিয়ে ভরাট করে স্হাপনা নির্মাণের জন্য এখন কাজ চালাচ্ছেন।আমরা এখন জায়গা উদ্ধারে নিরুপায়।পাচ্ছিনা আইনী সহযোগিতা,পাচ্ছিনা জায়গা।আমরা যদি তাদের কাজে বাঁধা দিতে যায়।তাহলে যেকোন মূহুতে,যেকোন সময় আমাদেরকে রক্তপাত সহ হত্যা করার সম্ভবনা বিদ্যামান।তাই দেশের উর্ধ্বতন প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগির পরিবার।
সরেজমিনে গেলে,মহাসড়কে লাগোয়া হিন্দুপাড়া নামক স্হানে নাল জমি ভরাটের দৃশ্য দেখা যায়।
জমি দখলের বিষয়ে মোঃ এরশাদ আলী থেকে জানতে চাইলে,তিনি বলেন-আমি ও আমরা জোর করে কারো জায়গা দখল করেনি।আমরা সমস্ত জায়গা বিভিন্ন জন থেকে ক্রয় করেছি।কারণ মহাসড়কের লাগোয়া এই জায়গাতে আমরা ফিলিং ষ্টেশন করবো।তাই ক্রয়কৃত জমির সকল দলিল আর খতিয়ান সু-করে ফিলিং ষ্টেশনের নামে ১৫/১৬টি লাইন্সেস নিয়েছি।আমাকে ও আমাদের নামে যে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন,তাও আমরা জানি না,এখন জানলাম।তাছাড়া আমার জানামতে জায়গা দাবিদার মন্টু গংনের জমি আমরা দখল করেনি বলে অস্বীকার করেছেন।