আবু নাসের টিপু :
যানজটে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জন্য স্বস্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশ।
দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় একের পর এক ডানা মেলছে নব নব অবকাঠামো। এইতো, ক’দিন পরই উত্তরা হতে আগারগাঁও ছাড়িয়ে মেট্রোরেল ছুটবে মতিঝিল অব্দি। চলছে কাউন্ট ডাউন। আরও একটি মেট্রোরেল রুট এর নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে, যার একটি অংশ হবে পাতাল রেল। প্রস্তুত হচ্ছে এয়ারপোর্ট-গাজিপুর বিআরটি করিডোর। এসব প্রকল্প ঢাকার যানজট নিরসনে রাখবে অবদান। এর আগে একযোগে শত-সেতু উদ্বোধনের পর আরও শতাধিক সেতু উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। বেশ কয়েকটি মহাসড়ক চার ও তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে পুরোদমে। নির্মাণ শেষে উদ্বোধনের প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলি টানেল।
কাওলা-ফার্মগেট-মগবাজার-কমলাপুর হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ২০ কিমি দীর্ঘ হলেও ওঠা-নামার ৩১টি ঢালু পথসহ দৈর্ঘ্য ৪৭ কিমি। আগামীকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ। অবশিষ্ট অংশ নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে।
বিদ্যমান রেলপথের উপর দিয়ে নির্মিত হওয়ায় জনভোগান্তি ছাড়াই তৈরি হয়েছে এ উড়াল পথ। যানবাহনের জন্য ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি গতি নির্ধারণ করা হয়েছে এ পথে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালকে সংযুক্ত করছে। এছাড়া এটি নির্মাণাধীন এয়ারপোর্ট-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযোগ তৈরি করবে। এতে ঢাকা ইপিজেড হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন উড়াল পথের দৈর্ঘ্য হবে ৪৪ কিলোমিটার।
দেশব্যপি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার এ বৈপ্লবিক পরিবর্তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু বিভাগের শক্তিশালী টিমওয়ার্কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।