শিরোনাম :
শরীফ উসমান হাদির সুস্থতা কামনায় কক্সবাজারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সর্বদলীয় ঐক্যমঞ্চের উদ্যোগে গণ দোয়া মাহফিল উখিয়ায় দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ কক্সবাজার প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন সামনের নির্বাচন সুষ্টু না হলে সংকট আরো বাড়বে-সুজন কক্সবাজার প্রেসক্লাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন ওসি প্রদীপের সাজানো মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিক ফরিদুলের পাসপোর্ট ফেরতের দাবি ড্রাইভার কল্যাণ একতা সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে কর্মকর্তারা বদ্ধপরিকর ওসি প্রদীপের আক্রোশের শিকার সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় অসন্তোষ

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ রুম / ১২৯ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন

বিডি ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভোট ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের ভাবমূর্তি কেউ নষ্ট করবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।
শনিবার ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছে। কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে ও আগেই সিল মেরে ব্যালট বক্স ভরে রাখতে না পারে, সেজন্য স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।’ মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছি। সবাইকে ভোটার আইডি কার্ড করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ আমরাই করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যদি ভোট চুরির নিয়ত থাকতো, তাহলে তো খালেদা জিয়ার মতো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারো ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না, এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের কিছু দিন লোডশেডিং দিতে হয়েছিল। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতি করতে ক্ষমতায় আসিনি।আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে কারও হাতে তুলে দেব না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। তিনি দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, তিনি সেটা পারেননি। আমরা সেটা করছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দুর্নীতি করে টাকা বানাতে ক্ষমতায় আসেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ এ স্লোগানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর