oplus_1024
শনিবার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.মুমিতা তানযীলা । এতে উপস্থিত ছিলেন জিআইজেড শেড প্রজেক্টে’র ক্রাইসিস এন্ড কনফ্লিক্ট এডভাইজার মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, শেড প্রজেক্টে’র ল স্পেশালিস্ট মোবাশ্বেরুল ইসলাম, সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র এডিটর মীর মাসরুর জামান, সমষ্টির গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক রেজাউল হকসহ অন্যরা।
oplus_1024
প্রশিক্ষণে স্থানীয় ও বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিরোধ নিরসন ও শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা, গণমাধ্যমে নারী-পুরুষের প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য আনা, সংবাদে নারীকে সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক প্রতিবেদনে সংবেদনশীল শব্দ, ছবি ব্যবহার, নীতি-নৈতিকতা ও তথ্য যাচাই সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে কলমে ধারণা দেওয়া হয়।
oplus_1024
অধ্যাপক ড. মুমিতা তানযীলা বলেন, “সমাজে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা আবশ্যক। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমাজের আইডল হতে হবে। সমাজে বিভিন্ন লিঙ্গের মানুষ বসবাস করে। এতে লিঙ্গবৈষম্য না করে সকলকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা ও সম্মান করতে হবে। নারীদের বক্তব্য, সফলতা এবং তাদের কর্মকাণ্ড ইতিবাচকভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়া উচিত“।
প্রশিক্ষণে ভিকটিমদের সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা, নারীর প্রতিভার স্বীকৃতি, শান্তিপূর্ণ ও সমতার বিশ্ব তৈরিতে সাংবাদিকরা যে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া স্থানীয় জনগণ ও বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সহাবস্থান বজায় রাখতে জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা ও প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা এবং জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা নিয়ে দলীয় অনুশীলনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এতে জেন্ডার ও বিরোধ বিষয়ে ভবিষ্যৎ প্রতিবেদনের জন্য বিষয় বাছাইসহ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।