বিডি প্রতিবেদক টেকনাফ :
বুধবার দুপুরে সংগঠনের আহবায়ক হিমু বড়ুয়া এবং সদস্য সচিব কায়সার হেলালের নেতৃত্বে শিক্ষকরা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এর আগে টেকনাফ উপজেলা শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে এক সংক্ষিপ্ত সভা করেছেন শিক্ষকরা।
স্মারকলিপিতে টেকনাফ উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ দাবী, হুমকি-ধমকি, বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা ও নাজেহাল করার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষকদের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনকে বিভীষিকাময় করে তুলছে। তদুপরি কতিপয় কুচক্রিমহল অধ্যয়নরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে তাদেরকে অযৌক্তিক তথাকথিত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যাহা মোটেও কাম্য নয়। বিষয়টি ইতিমধ্যেই আপনার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ এর পক্ষ থেকে এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হোয়াইক্যং আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শামীম আরা বেগম, সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. মাসুদ আলম প্রমুখ।
সংগঠনের আহবায়ক হিমু বড়ুয়া বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন আমাদের শিক্ষক সমাজ। এইটা থেকে পরিত্রাণ পেতে ইউএন মহোদয় কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান।
শামীম আরা বেগম বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে। এই ভুলের জন্য অভিযোগও দাখিল করা যায় তবে সেটা হবে নিয়মতান্ত্রিক ও আইন অনুযায়ী কিন্তু তা না একটি মহল ব্যক্তি, সামাজিক ও শিক্ষা জীবনে বিভীষিকাময় করে তুলছে যাহা কোন ভাবে কাম্য নয়।
মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা শিক্ষক সমাজ এই অশান্ত পরিস্থিতি চাইনা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।