পেকুয়া প্রতিনিধি ;
কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং এ সম্পদ লুটে নিতে আপন সন্তানের হাতে বয়োবৃদ্ধ পিতা নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে । দীর্ঘ ৫ বছর যাবত থানা ও আদালতে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন নাশের শংকায় ভোগছেন বলে দাবী করছেন বয়োবৃদ্ধ নুরুনবী।
জানা যায়,উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দরগা মুড়া এলাকার ৮০ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ নুরুনবী ১০ বছর পূর্বে জমি বিক্রি করে নিজ পুত্র মফিজুরর রহমানকে লিবিয়ায় পাঠান। প্রবাসে থাকা অবস্থায় যোগযোগ বন্ধ করে দেয়।
বৃদ্ধ নুরুনবী বলেন,দেশে এসে আমার উপর নির্যাতন মারধর করে বসত বিটা থেকে বের করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েরা বাপের বাড়ীতে রেড়াতে আাসলে তাদেরকেও মারধর করে। বসত বিটার গাছ ও বাগানের লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়। জমির চাষাকে হুমকি দিয়ে জমিতে চাষাবাদ করতে দিচ্ছেনা। আলাদা বসত বিটার জায়গা দিয়ে ঘর নির্মাণ করেও পিতার বসত ঘর দখল করে আছে। তিনি আরো বলেন, বসত বিটা ছেড়ে চলে নাগেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
বয়সের ভারে নুয়ে পাড়া বৃদ্ধ নুরুন্নবী আরো বলেন, ৬ মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বর্তমানে জায়গাজমি বন্ধক সহ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় বসতবিটা বাগান ও ফসলী জমি জবর দখল আশংকায় দিশে হারা হয়ে পড়েন।
এদিকে গত ২০২৩ সালে পুত্রের নির্যাতন সইতে নাপেরে চকরিয়া জুড়িশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে দঃ বিধির ৪৪ ধারা মতে পুত্রের বিরোদ্ধে সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেন। একই অভিযোগে টইটং ইউপিতে, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের কারেন কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে নিজেরা মিমাংসা করে দিবে বলে কোন মিমাংসা করেনি। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কামনা করেন।
অভিযুক্ত মফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে নিজ পিতাকে নির্যানতের বিষয়ে বলেন,আমার পিতাকে ভাগিয়ে নিয়ে আমার ভাইয়েরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।