বাংলাদেশী বংশদ্ভোত ৪ ব্রিটিশ নাগরিক টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ওয়াক পর হোপ

নিউজ রুম / ১১৬ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

সাকলাইন আলিফ :

বিশ্বের কাছে নতুন ভাবে কক্সবাজারের পরিচিতি তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশী বংশদ্ভোত৪ ব্রিটিশ নাগরিক কক্সবাজারের টেকনাফের 0. থেকে পায়ে হেঁটে ৪ দিনে ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পৌঁছেছে বৃহস্পতিবার বিকালে। এর মাধ্যমে শেষ হলো ওয়াক পর হোপ। লাবনী পয়েন্টে আয়োজক সহ টুরিস্ট পুলিশ এবং বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের নানা প্রতিনিধি তাদের স্বাগত জানান। ফুল দিয়ে বরণ করা হয় ৪ ব্রিটিশ নাগরিককে। তারা বলেন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন এর মাধ্যমে। এর আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ।

বাংলাদেশী বংশদ্ভোত ৪ বৃটিশ নাগরিক মিঃ হোসাইন আহমেদ, মিঃ আবদাল উদ্দিন আহমেদ,. মিঃ ফয়সল উদ্দিন, ও মিঃ এনামুল হক, ২৮ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফের জিরো পয়েন্ট থেকে সৈকতের উপর দিয়ে হাটা শুরু করে। বিভিন্ন বিরোতি দিয়ে  ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার  লাবনী পয়েন্টে এসে ওয়াক ফর হোপ শেষ হয়।

ব্রিটিশ নাগরিক হোসেন আহমেদ, লাবনী পয়েন্টে পৌঁছার পর আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, এসময় তিনি বলেন, আমার জন্মস্থানের মাটি বাতাস এত সুন্দর আগে জানা ছিল না। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অসাধারণ দৃশ্য অবলোকন করে আমরা চার দিন পায়ে হেঁটে কক্সবাজার পৌছালাম।

আরেক ব্রিটিশ নাগরিক আবদাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো পথে স্থানীয় জনগোষ্ঠী আমাদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। তারা আমাদের দেখে অভিভূত হয়েছে। তারা আমাদের জন্য দোয়া করেছে। তাদের এই ভালোবাসা কোনদিন ভুলতে পারবো না।

অপর ব্রিটিশ নাগরিক ফয়সাল উদ্দিন বলেন, আমরা এখন থেকে যেখানে যাই সেখানেই কক্সবাজারকে বাংলাদেশকে তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। এখানকার আবহাওয়ার সাথে আমাদের মিলিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে। আমরা ব্রিটিশে এক বছর ধরে এই ১০০ কিলোমিটার হাঁটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু এখানকার আবহাওয়া খুব গরম। তারপরও আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পেরেছি ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশী বংশদ্ভোত ব্রিটিশ নাগরিকরা বলেন,বাংলাদেশের কক্সবাজারের এই দীর্ঘতম সৈকতের মতো সুন্দর সৈকত বিশ্বে আর কোথাও নেই। এই সৌন্দর্যকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া রোহিঙ্গা শিশু ও স্থানীয় শিশুদের মান বাড়ানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। ব্যয়বহুল এ কাজগুলো করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা সংগ্রহ করার লক্ষে আমাদের এই Walk for Hope কার্যক্রমের আয়োজন। লাবনী পয়েন্টে ৪ ব্রিটিশ নাগরিক কে নিয়ে বেশ কিছু মাদ্রাসার ছাত্র পায়ে হেঁটে উন্মুক্ত মঞ্চে আসেন। সেখানে আয়োজক সংস্থা হিউমান রিলিফ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এ সময় টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর