সাকলাইন আলিফ :
কক্সবাজার হানাদার মুক্ত দিবস আজ ১২ ডিসেম্বর । ১৯৭১ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজার শহরের পাবলিত লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারকে শক্রমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
কক্সবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর সরকারী ও নানা সংগঠনের উদ্যেগে দিবস টি পালনের আয়োজন থাকলে ও এবার এ দিবস পালনের জন্য সরকারী ভাবে কোন আয়োজন নেই বলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে ১২ ডিসেম্বর চারটি গাড়িতে করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কক্সবাজার শহরে পৌঁছান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শহরের ঐতিহাসিক পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শো ডাউন করে কক্সবাজারকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন তারা।
সেই সময় সেখানে বক্তব্য রেখেছিলেন ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুস ছোবাহান, জয় বাংলা বাহিনীর অধিনায়ক কামাল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হকসহ বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
১২ ডিসেম্বর কক্সবাজার মুক্ত দিবস হলো কক্সবাজার জেলাকে মুক্ত করার দিন, যা ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে কক্সবাজার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ দখলকৃত এলাকা। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মুক্তিবাহিনী কক্সবাজার মুক্ত করার জন্য অভিযান চালায়। ১২ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি বাহিনী কক্সবাজার থেকে পিছু হটে এবং মুক্তিবাহিনী শহরটি দখল করে, ফলে কক্সবাজার মুক্ত হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক স্মরণীয় দিন হিসেবে পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কক্সবাজার মুক্ত দিবস একটি গৌরবময় মুহূর্ত, যেখানে বাংলাদেশের জনগণ এবং মুক্তিবাহিনী তাদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের সম্মানিত দিন হিসেবে এটি চিহ্নিত করে।
১২ ডিসেম্বর কক্সবাজার মুক্ত দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন হিসেবে চিহ্নিত। এটি ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘটে, যখন কক্সবাজার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হয় এবং মুক্তিবাহিনী শহরটি দখল করে। এই দিনটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, কারণ এটি কক্সবাজারে পাকিস্তানি বাহিনীর অবসান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কক্সবাজার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ দখলকৃত এলাকা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে ছিল। তবে মুক্তিবাহিনী একে একে এসব এলাকাকে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করতে শুরু করেছিল।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনী কক্সবাজার মুক্ত করার জন্য পরিকল্পনা শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময় ছিল এটি, কারণ পাকিস্তানি বাহিনী সব জায়গা থেকেই পিছু হটছিল। কক্সবাজার মুক্তির জন্য মুক্তিবাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি নেন এবং ১২ ডিসেম্বর তারা শহরটিতে অভিযান চালায়। মুক্তিবাহিনী কক্সবাজার শহরের উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের শহর ছাড়তে বাধ্য করে।
১২ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি সেনারা শহরটি ছেড়ে চলে গেলে কক্সবাজার পুরোপুরি মুক্ত হয়ে যায়। এতে মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে কক্সবাজারের জনগণের জন্য এক নতুন আশা এবং স্বাধীনতার পথে এক বড় পদক্ষেপ সৃষ্টি হয়।
কক্সবাজার মুক্ত দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু একটি শহরের মুক্তির দিন হিসেবে নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সর্বশেষ অধ্যায় হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। পাকিস্তানি বাহিনীর পিছু হটানো এবং মুক্তিবাহিনীর বিজয় কেবল কক্সবাজারের জনগণের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গৌরবময় মুহূর্ত ছিল। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে মুক্তিবাহিনীর অব্যাহত সংগ্রামের এবং দেশের জনগণের একতা ও সাহসের প্রতীক।
আজও কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিনটি পালন করে শহরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, পরিবারের সদস্য এবং শহরের জনগণ এই দিনটিকে স্মরণ করে।
১২ ডিসেম্বর কক্সবাজার মুক্ত দিবস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মরণীয় দিন, যা কক্সবাজারের জনগণের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে চিরকাল মনে রাখা হবে।