শিরোনাম :
মহেশখালীর কালারমারছড়ার জলদস্যু সরদার হাসান নুরী গ্রেফতার কক্সবাজারে ট্যুরিজম এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ইসলামী শ্রমনীতি ব্যতীত শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়-আব্দুল্লাহ আল ফারুক ছাত্র জনতার বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয় সুচিত- মুহাম্মদ শাহজাহান পেকুয়ায় বিরোধীয় জায়গায় স্হাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে হামলাঃ আহত ৬ কৈয়ারবিল ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানি অভিযোগ কক্সবাজার শিশু সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম এর সাধারণ সভা আজ সে ভয়াল ২৯ এপ্রিল:উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রামুতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত এবং তিনজন আহত

সেনা অভিযান দাবি করে টেকনাফে বিশাল মানববন্ধন

নিউজ রুম / ৬৯ বার পড়ছে
আপলোড : বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন

শহিদ উল্লাহ টেকনাফ :

সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণ বেড়ে গেছে উদ্বেগ জনক হারে। এতে করে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে উখিয়া টেকনাফের ১০ লক্ষ দিক মানুষ।
এমন অবস্থায় টেকনাফের পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান এবং অস্থায়ী সেনাঘাঁটির দাবিতে মানববন্ধন করেন সর্বস্তরের মানুষ। দাবি পূরণে জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
অপহরণ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে উখিয়া টেকনাফের বাসিন্দারা। তারাই ব্যাপারে সেনাবাহিনীর অভিযান দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

মঙ্গলবার বেলা ২টায় টেকনাফ ঝর্ণা চত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সংহতি জানিয়ে মানবন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

মানবন্ধনে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, এবং টেকনাফ সীমান্তের মানুষ হিসেবে অধিকার হারা।তাই বলে,আমরা অপরাধ করি নাই। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশী আমরা রোহিঙ্গা হয়ে গেছি । তারা আমাদেরকে অপরণ করে ব্যবসা করতেছে। এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। আমাদের দাবি, সবাই মিলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করুন। আমাদের একটা দাবি পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করে এবং সেনাঘাঁটি চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন , আপনারা দেশের নাগরিকদের জন্য আইন বাস্তবায়ন করে দেখান।বিগত সরকারের সময় এই চক্রের সঙ্গে কিছু প্রভাবশালীর সখ্যতার অভিযোগ ছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও তা বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়েছে বহুগুণ। তাই টেকনাফের মানুষ মনে করে, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা না হলে এই ভয়াবহ অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়।

ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ মুর্শেদ বলেন, আজ থেকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে যদি কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেয় টেকনাফের সব সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। টেকনাফের বাসিন্দারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় এবং আতঙ্কে রয়েছেন।তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্য বলছে, দুর্গম পাহাড় ঘিরে কয়েকটি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ৩-৪ শ মতো। তারা পাহাড়ে পাহাড়ে তৈরি করেছে বিশেষ আস্তানা। কিছু স্থানীয় বাসিন্দার আশ্রয় প্রশ্রয়ে চলছে এমন অপরাধ। তাই আমাদের জোর দাবি, যৌন বাহিনীর অভিযান এবং পাহাড়ে রাঙামাটির মতো সেনা ঘাঁটি দরকার।
উখিয়ার বাসিন্দা, শফিকুল ইসলাম বলেন, অপহরণকারীদের হাতে উখিয়া টেকনাফের ১০ লাখ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। আমরা এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই।
টেকনাফের মৌলভীবাজার এলাকার বাসিন্দা করিম উল্লাহ বলেন, আমাদের সন্তান নিয়ে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি। আমরা নিজের এলাকায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। একটা স্বাধীন দেশে এভাবেই চলতে পারেনা।
ব্যবসায়ী গোলাম আরিফ বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। উখিয়া টেকনাফের মানুষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মনে হয় অনেক বড় অপরাধ করেছে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন আমাদের। আমরা চাই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক।
টেকনাফে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে সেনা অভিযান দাবি করে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছিলেন টেকনাফের বাসিন্দা গণমাধ্যম কর্মী, কবি, লেখক নুপা আলম। এরপর এ ব্যাপারে উখিয়া টেকনাফের সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে ওঠে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর