জিয়াউল হক জিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউপি সচিব নুরুল আলমের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানি সহ চাকুরীচ্যুত চেষ্টা করার অভিযোগ পত্রটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মহোদয় বরাবরে দায়ের করেন নারী উদ্যোক্তা উম্মে কুলছুম।
গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অভিযোগটি আইনানুগ ব্যবস্থার্থে দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা উত্তাপন করা হলো-নারী উদ্যোক্তা উম্মে কুলছুম ২০১০ সালে উক্ত পরিষদে যোগদান করেন।তখন থেকে সফলতার সাথে সেবাগ্রহীতাকে যথাসময়ে সেবা দিয়ে আসছেন।এমতাবস্থায় ইউপি সচিব নুরুল আলম যোগদান করেন।পরে তিনি বিভিন্ন ভাবে আমাকে অনৈতিক শারিরীক মিলনের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠে।পরে আমি প্রস্তাব প্রত্যাখান করি।তারপর বিষয়টি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ উদ্দিন চৌধুরী,সাবেক ৬নং ওয়ার্ডের এমইউপি মোঃ জহিরুল ইসলাম ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ইলিয়াস সাঈদীকে আমার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করি।অভিযোগের ফলে ক্ষীপ্ত হয়ে,প্রোপাগান্ডা মূলক আমার বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) চকরিয়াকে অভিযোগ করেন।মূলত এলাকার জনগণ উদ্যোক্তার কাছে জাতীয়তা সনদ,ওয়ারিশ সনদ,পারিবারিক সনদ,প্রত্যায়ন,জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলনের জন্য আসেন।তখন আমরা প্রতিটি সনদের আবেদনে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের এমইউপি ও চেয়ারম্যানের দায়িত্বরতের স্বাক্ষর আনতে বলি।এভাবে আবেদন জমা রেখে সনদ প্রিন্ট করি।পরে আমরা উদ্যোক্তার স্বাক্ষর করে,চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে ডেলিভারি দিয়ে থাকি।তবে সনদ নিতে না আসা কিছু মানুষের সনদ এখনো সংরক্ষিত আছে।রক্ষিত সনদে আমি পূর্বের তারিখে বর্তমানে প্রিন্ট করে রেখেছি।
ইউপি সচিবের পরামর্শ ও মৌখিক নির্দেশনা মতে এনালগ সনদগুলো প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এর মাধ্যমে স্বাক্ষর করিয়ে সেবাপ্রাপ্তিদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।তবে দুই ধাপে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে প্রশাসনিক দায়িত্ব পরিবর্তনে সনদ প্রদানে সময় বিলম্ব হয়েছে।অভিযুক্ত সচিবের দেওয়া অভিযোগের ফায়সালা না হওয়ার পূর্বে উদ্যোক্তার বরাদ্দকৃত রুম তদন্তহীন যাবতীয় মালামাল সরিয়ে ফেলেন ইউপি সচিব।পরবর্তীতে নাগরিক সেবায় প্রতিদিনের মতো আমি গেলে অভিযুক্ত সচিব আমাকে অফিসে ডুকতে না দিয়ে ভুমি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে।পরে মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করিলেও কোন প্রতিকার পাইনি।বিধায় সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ তদন্তে ফায়সালা প্রদানের মাধ্যমে পুনরায় কাজে বহাল থাকতে আবেদন করি।এছাড়া আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষমা চাচ্ছি বলে উল্লেখ করেন উদ্যোক্তা।