শিরোনাম :
৫০ বস্তা সিমেন্টসহ ৫ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড গাঁজাসহ একজন রোহিঙ্গা নারী গ্রেফতার সেন্টমার্টিনে প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবাসহ ১৭ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড জুলাই গনহত্যার বিচার তরান্বিত করে সাম্য ও গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে কক্সবাজারের জুলাই পদযাত্রা সফল করতে উখিয়ায় সংবাদ সম্মেলন কক্সবাজারে সেমিনার তৃনমুল পর্যায়ের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জুলাই যোদ্ধাদের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান মালুমঘাটে সৌদিয়া বাস আর জিপভ্যান গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-,আহত-২ অপহরণকারী গ্রেফতার

মহেশখালী কলেজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত,

নিউজ রুম / ৩১ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

ফরিদুল আলম দেওয়ান :

কক্সবাজারের মহেশখালী কলেজে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার ও বিগত ৪ বছর ধরে বিভিন্ন ছলচাতুরির মাধ্যমে নিয়মিত কলেজ পরিচালনা কমিটি ঘটন না করা এবং নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ না করার প্রতিবাদে গতকাল ১৭ জুন বিকাল ২টায় প্রাক্তন ছাত্র ও অভিভাবকদের এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক সমাবেশ শেষে প্রতিবাদকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ সম্বলিত স্মারক লিপি দিয়েছে।

           স্মারকলিপিতে উল্লেখিত অভিযোগ মতে দাবি করা হয়, মহেশখালী কলেজে বিধি বহির্ভূত  ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে হত্যাকাণ্ডসহ অপকর্মের সাথে জড়িত ৩ জন শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহেদ মান্নান এর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষের গৃহীত বৈধ সিদ্ধান্ত ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত লংঘন করে গভর্নিং বডি গঠন বন্ধ রেখে কলেজের একাডেমিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ধংস করা হয়েছে।

     কলেজের ৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ হচ্ছে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক এহসানুল করিম জঙ্গি নেতা বাংলা ভাইয়ের সহযোগী, ৬৩ জেলায় জঙ্গি বোমা হামলা মামলার ১৭১ নম্বর আসামি এবং তার প্রতিবেশী ওসমান গনি হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি। উক্ত শিক্ষক গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মহেশখালী উপজেলা প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি আওয়ামী ক্ষমতা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে মহেশখালী কলেজে নিয়োগ ও এমপিও লাভ করেন।

    অপরদিকে আইসিটি বিভাগের শিক্ষক আবু সরোয়ার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে কলেজে নিয়োগ লাভ এবং হত্যা মামলার চার্জ সিটভুক্ত আসামি বলে অভিযোগে দাবি করা হয়। ২০২২ সালে তার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে গভর্নিং বডি কর্তৃক গঠিত কমিটি সার্টিফিকেট জাল মর্মে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল। তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লোককে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

      এদিকে কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শাহেদ মান্নানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয়ের যে অডিট হয়েছে সেই অডিট রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহেশখালী কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক মোঃ শাহেদ মান্নানের নিয়োগ বিধিসম্মতভাবে হয়নি। বিধি সম্মত না হওয়ায় তার নিয়োগ অবৈধ। তিনি স্বজন প্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে গভর্নিং বডির অনুমোদন ছাড়া দুইজন শিক্ষককে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি ও সুফি অনুমোদন করে কলেজের একাডেমিক শৃঙ্খলা ধ্বংস করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভূঁয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কলেজ উন্নয়ন কাজের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন।

       উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শাহেদ মান্নান বলেন, আমি, প্রভাষক এহসান ও আবু ছরওয়ার রানাকে নিয়ে কলেজের সামনে আজকে প্রকাশ্য ব্যানার টাঙ্গিয়ে যেভাবে নোংরামি করা হয়েছে আমি তার নিন্দা জানাই। যদি আমাদের নিয়োগ অবৈধ হয় তাহলে সেটা মাউশি দেখবে। আমরা সবাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক। আমাদের সব কাগজপত্রের সত্যতা পেয়েছে বলেই আমরা নিয়োগ পেয়েছি। আর তাদের ব্যক্তিগত যেসব বিষয় নিয়ে তারা অভিযোগ করেছে সেসব তাদের নিজ নিজ ব্যক্তিগত বিষয়।

      প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারক লিপি প্রধান কালে ছিলেন, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধ রাজসেন উদ্দিন কনিক, সাকের উল্লাহ খোকন, আব্দুস শুক্কুর এবং প্রাক্তন ছাত্র ও অভিভাবকবৃন্দ। তারা বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মহেশখালী কলেজের সকল অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়মিত পরিচালনা কমিটি গঠন ও অধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে কলেজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর