বিডি প্রতিবেদক :
মাতারবাড়ি বন্দর-কে জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে নির্মিতব্য সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম অংশে চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়কের চকরিয়ার ফাসিয়াখালি হতে বদরখালি ব্রিজ পর্যন্ত ২৪৩ একর জমি অধিগ্রহনের জন্য স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী গত ২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে ভূমি মালিকদের নোটিশ জারী করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক -এর পক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা স্বাক্ষরিত নোটিশে সরকার কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর অধিগ্রহণের প্রস্তাবিত এলাকার চিড়িংগা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ বিষয়ে ভূমি মালিকদের জন্য এক সচেতনতা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আমিন আল পারভেজ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা, চকরিয়ার সহকারী কমিশনার( ভূমি) রাহাত উজ জামান, চিড়িংগা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল চৌধুরী, ফাসিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন সহ কয়েক শত ভূমি মালিক উপস্থিত ছিলেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভূমি অধিগ্রহণের নানা ধাপ কোন ধাপে ভূমি মালিকদের করণীয় কী তার বিস্তারিত ব্যখ্যা করেন। তিনি ন্যয্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য ভূমি মালিকদের কোন দালালের শরণাপন্ন না হতে এবং কারও অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এরপর তিনি ভূমি মালিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ভূমি মালিকরা তাদের জমির উপযুক্ত ক্ষতপূরণ নির্ধারণ, নির্মিতব্য সড়ক যেন কৃষি কাজে ব্যবহৃত পানি প্রবাহে বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখার দাবী জানান। এসময় খাস জমিতে যেসব দরিদ্র মানুষ ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন তারা যেন ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করার দাবী ওঠে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাদের বক্তব্য শোনেন এবং উত্থাপিত বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতি এবং জনহয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টা সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।