শিরোনাম :
দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে পেকুয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক আরিফের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল পেকুয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আহত জেলেদের ফেরত আনা নিয়ে যেসব তথ্য জানালেন কোস্টগার্ড বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও দুর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার মিয়ানমারের চেয়ে ভালোভাবে পূজা করতে পারছে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা পরিবেশ সম্মত আধুনিক পর্যটন শিল্প গঠন করে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে-তাহলে বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসবে পেকুয়ায় শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে সর্তক অবস্থানে র‍্যাব,আইনশৃঙ্খলা সুমন্নত রাখা হবে : এ এসপি র‍্যাব ১৫ মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত

মাত্র ১৩ বছরে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছে সরকার–প্রতিমন্ত্রী পলক

নিউজ রুম / ২৪ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন

এম এন আলম :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ১৩ বছরের ব্যবধানে একটি দরিদ্র স্বল্পোন্নত দেশকে একটি উন্নয়নশীল প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরিত করেছে। যার সততা সাহসিকতা এবং দূরদর্শিতার ফলে প্রতিটি গ্রামের সাধারণ নাগরিকরা শহরের নাগরিক সেবা পাচ্ছে। মিয়ানমারের ১০ লাখ নাগরিককে স্থান দিয়ে খাদ্য দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে এক মানবতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইতিহাস রচনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা গত ১৩ বছরে পুরো দেশকে ডিজিটালের রূপান্তরিত করেছেন, ডিজিটাল সেন্টার, ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা, ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, বিচারিক কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুতে ই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানুষের জীবন মান সহজ করে দিয়েছে।

আজ বাংলাদেশে ১৩ কোটি  ইন্টারনেট ব্যবহারকারী,২ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেবা, সরকারের সেবাগুলো জনগণের দৈর্ঘ্যটায় পৌঁছে দেওয়া, ২০ লক্ষ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান এ আইসিটি সেক্টরে নিশ্চিত করা গেছে। নতুন শিল্প হিসেবে প্রযুক্তি শিল্প আজ গড়ে তুলতে পেরেছি এই সরকার।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আয়োজনে ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন এই সেন্টারের প্রথম কাজ হবে কৃষক এবং উৎপাদিত পণ্যের সাথে ক্রেতাদের সম্পর্ক সৃষ্টি করা। পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত প্রদান পূর্বক রোগবালাই প্রতিরোধ, উৎপাদিত পণ্যের বাজার দর ও বাজারজাত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই ডিভিসি।

প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যেম সঠিক সময়ে এবং ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করণে সরকার ডিজিটাল ভিলেজ কাম এগ্রিগেশন সেন্টার স্থাপন করছে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। গত ১৩ বছর আগের গ্রাম আর আজকের গ্রামের দৃশ্য অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। যা শুধুমাত্র ডিজিটালাইজেশনের কারণে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি নাগরিক ও গ্রামকে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট গ্রামে পরিণত করা হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী সাশ্রয়ী উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা হবে।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এফ এ ও আঞ্চলিক কার্যালয় বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ডিজিটাল গ্রামগুলিকে সমর্থন করার জন্য, খামারের উত্পাদনশীলতা এবং লাভজনকতা বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ কৃষি সম্প্রদায়ের ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই কাঠামো তৈরি করেছে।

এফ এ ও -এর ডিজিটাল ভিলেজ উদ্যোগের সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র কৃষকরা সরকারী এবং/অথবা বেসরকারী অভিনেতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ই-পরিষেবা পেতে পারেন। তা ছাড়া, এটি কৃষক, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং জ্ঞান-আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করতে পারে। আরও রূপান্তরের সাথে, এটি ডিজিটালাইজেশন, যুব পুরুষ ও মহিলা সহ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষির আধুনিকীকরণ এবং আয় বৃদ্ধির জন্য একটি এন্ট্রি পয়েন্ট হতে পারে।

বরিশাল, রংপুর ও কক্সবাজারে মোট ৬০টি ডিজিটাল গ্রাম রয়েছে। এই ডিজিটাল গ্রামগুলি প্রযোজক সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং তারা ৫৭টি ভার্চুয়াল কল সেন্টার পরিচালনা করে যাতে সমষ্টিগত বিপণনের জন্য পণ্যগুলিকে একত্রিত করা যায় এবং কৃষি উপকরণগুলির প্রচুর পরিমাণে সংগ্রহের সুবিধা দেয়৷ এই ডিজিটাল গ্রামগুলি সরকার দ্বারা বিকশিত বা সমর্থিত ২৩টি ডিজিটাল কৃষি অ্যাপ্লিকেশন প্রচার করে; তারা গ্রামীণ কৃষকদের ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাতে তারা নতুন সুযোগের সুবিধা নিতে পারে। কৃষি মূল্য শৃঙ্খলকে ডিজিটাইজ করার জন্য, বিশেষ করে ছোট আকারের উৎপাদকদের জন্য, ব্যবসায়িক দক্ষতার প্রয়োজন, এফ এ ও এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পরিসরে সহায়তা প্রদান করে – উৎপাদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী পলক প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং উৎপাদিত পণ্যের বিষয়ে কথা বলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এসনোভ বাকনোদুর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশীষ রঞ্জন নাথ, এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তা আনির চৌধু্রী, রেজওয়ানুল হক জামি, ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ার নুরুল হুদা, সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীসহ, সরকারি-বেসকারি পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ নানা কার্যক্রম পরিদর্শন জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর