বিডি প্রতিবেদক:
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ে ডায়নামিক সব দৃশ্যমান কাজগুলো প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে ফোরকান আহমেদকে স্মরণীয় করে রাখবে। ছয় বছরে আধুনিক ১০ তলা কউক ভবনসহ নানা দৃশ্যমান কর্মযজ্ঞ হয়েছে। কাজ করতে গেলে ভুল হবেই। তাই বলে সমালোচনা সমাধান নয়। কোথায় ভুল তা ধরিয়ে দিয়ে সমাধানের পথ দেখালেই উন্নয়ন তরান্বিত হয়। সমালোচনা কারীরা পরাজিত-ই হন। বিদায়ী চেয়ারম্যানের কর্মকালে সমালোচনায় বেশি করেছি আমরা৷ এরপরও তিনি শিশু প্রতিষ্ঠান কউককে দেশের সুশৃঙ্খল একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছেন। নতুন চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা দিয়ে কউককে এগিয়ে নিতে সবার আন্তরিকতা প্রয়োজন। এতে কক্সবাজার হবে সত্যিকারের আন্তর্জাতিক পর্যটন শহর।’
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) কউক’র প্রথম চেয়ারম্যান বিদায় লে.কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমেদকে বিদায় ও নতুন চেয়ারম্যান কমোডোর নুরুল আবছারকে বরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে কক্সবাজার সদর আসনের এমপি সাইমুম সরোয়ার কমল বলেন, ইতিমধ্যে কউক মন্ত্রণালয় থেকে শুদ্ধচার পুরস্কার এবং একাধিকবার দেশের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ফোনকান ভাই অল্প সময়ের মধ্যে যা করেছেন তা কারো পক্ষে সম্ভব হতো না। পুরোনা কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি তা করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি আশা করবো নতুন চেয়ারম্যানও একইভাবে কাজ করবেন।
একই তথ্য উল্লেখ করে কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ এমপি জাফর আলম ও কক্সবাজার-২ আসানের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ফোরকান ভাই সৎ ও কর্মট মানুষ বলে অল্প সময়ের মাঝে অসাধ্যকে সাধন করতে পেরেছেন। যা কক্সবাজারবাসী আজীবন মনে রাখবেন।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবাগত চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কউককে বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপান্তরের যাত্রা করেছেন প্রথম কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শেষ বয়সে কউকের দায়িত্ব পেয়েছি, এমন কিছু করতে চাই- যেন কক্সবাজার উপকৃত হয়। ব্লু ইকোনুমিকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজারের উন্নয়ন সাধন করায় আমার লক্ষ। এ জন্য সবার সহযোগীতা প্রয়োজন।
বিদায়ী চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করিনি। দায়িত্বটা বুঝে দিয়েছিলেন তৎকালীন ডিসি-কিন্তু কোন অফিস, গাড়ি, জনবল নেই। তবে, কক্সবাজারের সন্তান হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কক্সবাজার করার কাজে নেমে পড়েছিলাম। প্রয়াত মেজর জেনারেল আবেদীন, গণপূর্ত মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব, এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কাজ করার চেষ্টা করেছি। বিদায়ের দিনে আপনাদের কথাতেই বুঝলাম কিছু কাজ করতে পেরেছি।
আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, আমার চাওয়া পরিচ্ছন্ন কক্সবাজার। কোন বুক-পিঠ নেই- সেভাবেই কাজ করেছি। সামনের দিনেও একই ভাবে কাজ করতে চাই। নতুন চেয়ারম্যানকে সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে কক্সবাজারকে এগিয়ে নিতে চাই। সবার সহযোগিতায় কক্সবাজার হবপ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পর্যটন নগরী।
সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা দিয়ে দেশের কল্যাণ করা যায়। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক সাংবাদিকতা অকল্যাণই বয়ে আনে।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই নবাগত চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের সহযোগী হিসেবে থাকলে তার পথচলা সহজ হবে।
কউক মাল্টিপারপাস হলরুমে সচিব আবু জাফর রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, কউক সদস্য এডভোকেট প্রতিভা দাশ ও মাকসুদুর রহমান বাবু প্রমূখ।
এসময় গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও সামরিক আধা-সামরিক বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন