শিরোনাম :
মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত মায়ের ডাক’র সমন্বয়ককে তুলে নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ কৃষকের ফসল নষ্ট, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব সহ ৭৬ জনের নামে মামলা বদির ‘আন্তর্জাতিক ক্যাশিয়ার’ ফারুককে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান, দুর্বৃত্তদের হামলা মাহমুদুর রহমানের কারাগারে যাওয়া নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল কীভাবে ভারতে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী টেকনাফের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষাসহ ১২দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী বৈষম্য মুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহর স.- আদর্শই একমাত্র পথ “-মুহাম্মদ শাহজাহান

চীনা মুদ্রায় এলসি খেলা যাবে

নিউজ রুম / ২০ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

বিডি ডেস্ক :
চীনা মুদ্রা ইউয়ানে এলসির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লেনদেনের অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশ দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার
এ প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অথরাইজড ডিলারদের (এডি শাখা) বাংলাদেশ ব্যাংকে চীনা মুদ্রা ক্লিয়ারিংয়ের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চীনা ফরেন কারেন্সিতে লেনদেন করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর একটি ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট মেইনটেন করতে হবে। এজন্য একটি চলতি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী চীনা মুদ্রায় লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য দেশের ব্যাংকগুলো বিদেশের ব্যাংকের সঙ্গে করেসপন্ডিং করতে পারবে।
জানা গেছে, দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশের বেশি হয় চীনে। টাকার সঙ্গে দেশটির মুদ্রা ইউয়ানের বিনিময় হারও স্থিতিশীল। এই মুদ্রায় আমদানি দায় নিষ্পত্তি করা গেলে বিনিময় হারজনিত লোকসান কমবে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার ডলারের ব্যয়ও কমবে। এসব বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আড়াই বছর আগে চীনা মুদ্রায় সরাসরি আমদানি-রপ্তানি দায় নিষ্পত্তির সুযোগ দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের আগস্টের এক নির্দেশনা অনুযায়ী ইউএস ডলার, ইউরো, জাপানি ইয়েন, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড ও কানাডিয়ান ডলারের পাশাপাশি ইউয়ানে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিষ্পত্তির সুযোগ দেওয়া হয়। তবে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যাংকগুলো এ সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংক চীনা মুদ্রায় ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং লেনদেনও হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চীন থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ আমদানি করে, সে তুলনায় রফতানি খুব সামান্য। অন্যদিকে দেশের মোট রফতানি ও রেমিট্যান্স আয়ের বড় অংশ আসে ডলারে। যে কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্টে চীনা মুদ্রার জোগান থাকে খুব কম। আবার বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য যেসব ব্যাংকের ‘ক্রেডিট লাইন’ পেতে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খোলা হয় সেগুলোর অধিকাংশ লেনদেন হয় ডলারে। যে কারণে বৈশ্বিক লেনদেন নিষ্পত্তির সহজ মাধ্যম হিসেবে ডলারকেই বেছে নেন আমদানিকারকরা।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর