বিডি ডেস্ক
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায় মিয়ানমার। তবে তাদের এই উসকানিতে বাংলাদেশ পা দেবে না বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। সীমান্তে মিয়ানমারের হঠকারিতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে জানাতে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব।
মো. খুরশেদ আলম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায় মিয়ানমার। বিদেশি কূটনীতিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে গেলে বাংলাদেশের উদ্যোগকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রদূতরা।
বৈঠকে দূতদের জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এমন কোনো কাজ করেনি, যে এদেশের নাগরিকরা নিজেদের জমিতে নিরাপদে বসবাস করতে পারবে না, গরু-বাছুর চরাতে পারবে না, ঘরে থাকতে পারবে না।
এদিকে সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সোমবার মিয়ানমার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে দেশটি। মিয়ানমার বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এ দুপক্ষ মিলে চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জ ফিউ উইন। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে বৈঠকের বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেছে।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর দূতদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে গোলা বর্ষণ করছে মিয়ানমার। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগেও কয়েক দফায় মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল ও গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশের ভেতর। তখনো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।