বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচরে অসহায় কৃষক খোরশিদা বেগমের কষ্টার্জিত পেঁপের ক্ষেতের প্রায় ৪০টি গাছ রাতের আধারে কেটে দেওয়া এ কেমন নিষ্ঠুরতা।
রবিবার গভীর রাতে বিএমচরে পেঁপে গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
অসহায় কৃষক খোরশিদা বেগম বিএমচর ইউপির ২নং ওয়ার্ডের বাক্কার পাড়া গ্রামের শফর মুল্লুকের স্ত্রী।শফর মুল্লুক শারিরীক ভাবে অসুস্হ।
ভুক্তভোগী খুরশিদা বেগম জানান,আমার নিজ বাড়ির পাশে নিজস্ব একখণ্ড জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেত-খামার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি।এরই মধ্যে উক্ত জমিতে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করি। গত ৩/৪ মাস পূর্বে রাতের বেলায় কে বা কারা আমার বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয় সর্দার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। সর্বশেষ রবিবার রাতে ক্ষেতের চারিপাশে রোপণ করা ৫০টি পেঁপে গাছের মধ্যে প্রায় ৪০ টি পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। প্রতিটি গাছে বিশ থেকে ত্রিশ টি পেঁপে রয়েছে।
পুত্র সন্তানহীন পরিবারের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ‘ক্ষেত-খামারের ফসল’ নষ্ট করে দেওয়ায়, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী খুরশিদা বেগম।
স্থানীয়রা জানান,শফর মুল্লুক দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না।তার চারটি কন্যা রয়েছে।নিরুপায় হয়ে তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম অনেক কষ্ট করে এই ক্ষেত-খামারটি করেছিলেন। গাছের পেঁপে গুলো বিক্রি করার উপযোগী হওয়ার মুহুর্তেই দূর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে গাছ গুলো কেটে দিয়ে যে সর্বনাশ করেছে!এ কেমন শত্রুতা,নিষ্ঠুরতা বুঝলাম না।
বিএমচরের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমার ইউনিয়নের বাক্কার পাড়ার অসহায় কৃষক খুরশিদা বেগমের বাগানের পেঁপে সহ ৩০/৪০টি গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও জঘন্য কাজ।এহেন কাজ যারা করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানিয়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, বিএমচরে অসহায় কৃষকের অনেকগুলো পেঁপে গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি শুনেছি।তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।