মোহাম্মদ উল্লাহ :
মাতার বাড়িতে পূর্ণবাসনের টাকা নিয়ে যত সব নোংরামি তাতো মানা যায় না—-অন্তত ০২ ক্যাটাগরিতে জমির মালিকদের ন্যায্য পাওনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজনঃ- (০১) এককালীন অনুদান ২,২০,০০০/
(০২) শ্রমিকদের টাকা ২,৮৫,০০০/
আমার মতে সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তথ্যটি খোলাসা করার প্রয়োজন আছে ।দু, প্রকল্পের পূনর্বাসন নিয়ে আমার যা সম্ভব করে এসেছি, বর্তমানে জমির মালিকদের বঞ্চিত করার কোল পাওয়ারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কৌশলী ভূমিকা হাস্যকর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কোল পাওয়ারের কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফারাক রয়েছে।
জাইকা’ র অর্থায়নে পূনর্বাসনের বিষয়টি মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের শুরু থেকে সবারই জানা ছিল। জমি অধিগ্রহণ আর কাজ আরম্ভের পূর্বে দেশী বিদেশীদের সমন্বয়ে বিভিন্ন ষ্টক হোল্ডার মিটিং থেকে জেনেছি ২১ ক্যাটাগরির ক্ষতি পূরণ দিবেন তাঁরা। যতটুকু জানি বিদেশিরা আগে এলাকা বাসীদের সন্তুষ্ট করেই কাজে হাত দেন।কিন্তু কথা আর কাজে কোন মিল নেই। শুরু করলেন নুন্যতম ০৩ ক্যাটাগরির ক্ষতি পূরণের কাজ।জমির মূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিক আর বর্গা চাষী।অধীগ্রহন হয় ২০১৪ – ২০১৫ সালের দিকে জায়গাও বুঝিয়ে দিলেন ডি,সি অফিস।এন,জি,ও এসে ২০১৫ সালের শেষের দিকে জরিপ কাজে হাত দিলেন।তখন রুহুল ভাই ছিল চেয়ারম্যান। আমি আসি ২০১৬ সালের মার্চে। পূণর্বাসনের বিষয়ে জোরালো তদবির শুরু করি আমি।জমির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মোটামুটি সফল হই তবে মূল্য বৃদ্ধির টাকার ফাইল এখনও প্রায় ২০০ মত দেয়া বাকি রয়ে গেছে।১৪১৪ একরে এল,ও,অফিসের চেকের অধীনে শ্রমিক নির্ধারণ করি ১০৪৯ জন পরে চেক আসলে কথাছিল ন্যায়ত তাতেও শ্রমিক দিবেন কিন্তু দিচ্ছে না এখন।বর্গা চাষী হয় প্রায় ২০০ এর অধিক টাকা পান সম্ভবত ১০০ এর উপর।
প্রসংগঃ- এককালীন অনুদান ২,২০,০০০/ ২০১৬ সাল জাইকার প্রচন্ড চাপ পূনর্বাসনের টাকা দিয়ে দিতে হবে। কারো সাথে কোন কথা নেই হঠাৎ তৎকালীন কোল পাওয়ারের এম,ডি কাশেম সাহেব ঘোষণা দিলেন এক কালীন অনুদানের টাকা দিবেন ২,২০,০০০ করে।দিচ্ছেন আবার এল,ও অফিসের চেকের মালিকদের আমি বাঁধা দিলাম।আমার বক্তব্য ছিল এ টাকা কেন,কি জন্য,কাকে দিবেন আগে আমি এবং আমার জমির মালিকদের সাথে বসতে হবে।কোল পাওয়ার আমার কথা রাখেননি ওলটো আমার নামে বদনাম রটালো আমি মানুষদের টাকা দিতে বারণ করছি। আমার বিপক্ষের কিছু লোক ডেকে নিয়ে কোন কাগজপত্রের তোয়াক্কা না করে আই,ডি কার্ড দেখে দেখে ২,২০,০০০/ দেয়া শুরু করে বিদেশীদের দেখালেন তাঁরা পূনর্বাসনের টাকা দিচ্ছেন। এখানে মাতার বাড়িতে ঐ টাকার ভাগ নিতে ভাই বোনের মধ্যে ব্যাপক মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়েগেছে। কিছু দিন গেল সুযোগ খোঁজছিলাম আমি ধরব একদিন কাশেম সাহেব কে।
ধরলাম কাশেম সাহেব কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিডি মিটিং এ। জবাব চাইলাম ২,২০,০০০/ এই টাকা কেন ? কাকে কি জন্য দিচ্ছেন? এম,পি,ডি সি উপরস্ত কর্মকর্তা সবায় ছিলেন। কাশেম সাহেব উত্তরে বললেন এটি এককালীন অনুদান জমির মালিকদের দেয়া হচ্ছে। তাতে খুশি হয়ে আমি আবার প্রশ্ন করলাম, আমার বাবা মৃত ১০ ভাই বোন মিলে ডি সি অফিসে একজনকে ক্ষমতা দিয়েছি এ ক্ষেত্রে এককালীন অনুদান কি শুধু মাত্র চেকের মালিক পাবে? নাকি ওয়ারিশরা সবায় পাবেন।এক বাক্যে উনার উত্তর ছিল সমস্ত ওয়ারিশরা পাবেন।সে মতে জাইকা প্রকল্পে ৮৫০ জনকে দিল আর সিংগাপুর প্রকল্পে প্রায় ১৭০০ জনকে দিয়ে এককালীন অনুদান বন্ধ এখন। ইদানিং বলতেছেন ৯৫% এককালীন অনুদানের টাকা দেয়া হয়েগেছে।এসব কথা সরকার এবং বিদেশিদের চোখে ধুলো দিচ্ছে কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ।অথচ হিসাব করলে ১৪১৪ একরে জমির মালিক হবে ৫০০০ হাজারের অধিক এবং ১২০০ একরে হবে প্রায় ৩৫০০ মত। এবার দেখুন কত পার্সেন্ট এককালীন অনুদান তাঁরা দিতে পেরেছেন।১২০০ একরের এন,জি,ও উধাও ১৪০০ একরের এন,জি,ও দু,মাস পর উধাও হবে। বাকি পূনর্বাসনের আর কোন হদিস থাকবে? আজগুবি কিছু কান্ড দেখতেছি ইন্ডেন হয় ৪,২০,০০০/ জমির মালিক টাকা পায় ২০০০০০/ বাকি টাকা যায় কোথায়?
প্রসংগ শ্রমিকঃ১৪১৪ একরে ১০৪৯ জন অনুমোদন প্রাপ্ত শ্রমিকদের মধ্যে এখনও বাকি প্রায় শতাধিক।এল,ও অফিস থেকে নতুন নতুন চেক পাচ্ছেন তাঁদের জমির অধিনে কোন শ্রমিক দিচ্ছেন না।ইতি পূর্বে ১৪১৪ একরে প্রায় ৩৭৭ একর জমির বিপরীতে কোন শ্রমিক দেননি। দুর্নীতি করেছেন প্রজেক্টের মালিক শ্রমিক তো আর দুর্নীতি করেননি সেখানেও আছে প্রায় ৮০ জনমত শ্রমিক।তারাও টাকা পাওয়ার অধিকার রাখেন। অন্তত প্রতি একরে ০১ জন করে হলেও ১৪১৪ একরে ১৪১৪ জন শ্রমিক হয়।
সিংগাপুর প্রকল্পে আমি ৯৭০ জন শ্রমিক অনুমোদন দিয়ে এসেছি।এল,ও অফিস থেকে জমির মালিক আরও নতুন নতুন চেক পেয়েছেন। তাদের কি অবস্থা হবে জানিনা এন, জি ও নাই।এ পর্যন্ত ১২০০ একরে ০১ জন শ্রমিকও টাকা পায়নি।১২০০ একরেও ১২০০ শ্রমিক হওয়ার কথা।
এ অবস্থা যদি হয় কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষের, মাতার বাড়ি বাসী কার কাছে যাবে।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাননীয় জেলা প্রশাসক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর হওয়া অতীব জরুরী।
লেখক :
মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ,
সাবেক চেয়ারম্যান,
মাতার বাড়ি।