বিডি প্রতিবেদক:
টানা ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ব্যাপক সমাগম হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাবারে ও অতিরিক হোটেল ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা। পর্যটক হয়রানি বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলছে প্রশাসন। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কারণে একটি হোটেল কে জরিমানাও করা হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা ঈদে মিলাদুন্নবী ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে পাঁচদিনের টানা ছুটির কবলে পড়ে দেশ। আর এই ছুটি উপভোগ করতে পর্যটন নাগরী কক্সবাজারে ভিড় করছেন পর্যটকরা। শনিবার সমুদ্র সৈকতের লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা হইচই আর আনন্দ করে সময় পার করছে। ঢাকার মীর হাজিরবাগ থেকে আসা পর্যটক, সাইলা, আখি, রাফসান বলেন, তারা ছুটি উপভোগ করতে সৈকতে বন্ধুরা মিলিয়ে এসেছে। তবে যে হোটেলে উঠেছেন সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এই পর্যটকরা।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় খুলনা থেকে আসা পর্যটক সুজাউদ্দিনের সাথে, তিনি বলেন, দুপুরে কক্সবাজার শহরের ভেতর আল গনি হোটেলে ভাত খাওয়ার পর বিল দিতে গিয়ে থমকে জান। এ হোটেলে এক টুকরো ইলিশ মাছের দাম রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা করে।
কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আসা পর্যটক, সালাম ফারুক বলেন, কক্সবাজার সৈকতে ঘুরে ভালো লাগছে। লাবনী পয়েন্টে সাগরের ভাঙ্গন রোধ করার জন্য দেওয়া বালির বস্তা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। প্রাকৃতিক জিনিসটা আর নেই এখানে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল থেকে জানানো হয়, পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে হোটেল অভিসার নামের একটি হোটেল কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার সৈকতে গোসল করতে নেমে ভেসে যায় অনেক পর্যটক, এসব পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ করছে লাইফ গার্ড কর্মীরা।
সি সেইফ লাইফ গার্ড কর্মী, মোঃ শুকুর জানান,শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের দুটি পয়েন্ট থেকে ভেসে যাওয়ার সময় ৬০ জন পর্যটক কে উদ্ধার করে। তবে তাদের দ্রুত উদ্ধার করার কারণে হাসপাতালে পাঠাতে হয় নি বলেও জানান এ লাইফ গার্ড কর্মী।
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, প্রতিটি হোটেল কে বলা আছে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করেন। তারপরেও যেসব হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রেজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সকাল থেকে আমাদের মোবাইল টিম গুলো কাজ করছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, টানা ছুটিতে যেসব পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে তাদের নানা বিষয়গুলো জেলা প্রশাসন থেকে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তিনটি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক পর্যটন এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে ইতিমধ্যে একটি হোটেল কে জরিমানা করা হয়েছে।