বিডি প্রতিবেদক টেকনাফ
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ, ঘাট মালিক ও জাহাজ মালিক সমিতির নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া জেটি ঘাট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রায় তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টেকনাফের বাসিন্দারা দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু হঠাৎ করেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণায় পর্যটনখাতে জড়িত প্রায় ২০ হাজার মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে কাজ হারিয়ে তাদের অনেকের মাদক ও অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে টেকনাফ-সেন্টর্মাটিন জাহাজ চলাচল চালুর দাবি জানান তারা।
পরে মানববন্ধন শেষে বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী, পর্যটন মন্ত্রী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন তারা। টেকনাফ উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
এ সময় জাহাজ ঘাটের রেস্টুরেন্ট মালিক মো. আয়ুব বলেন, ‘জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় একটি স্বার্থানেষী মহল এর সুযোগ নিচ্ছে। তারা টিকিটের দাম বাড়িয়ে ওভারলোডিং করে সাগরপথ পাড়ি দিচ্ছে। এতে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ ঘাটের ইজারাদার তোয়াক্কল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে ঘাট ইজারা নিয়েছি। অথচ হঠাৎ করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যুর কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এভাবে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলে আমাদের লাখ লাখ টাকা লোকসান হবে। এই সিদ্ধান্তের কারণে জাহাজ ঘাটকেন্দ্রিক প্রায় ২০ হাজার মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপাকে পড়েছে। এতদিন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে চা-নাস্তা,পান, সিগারেট, বার্মিজ আচারসহ বিভিন্ন প্রকার সামগ্রী বিক্রি চলতেন তারা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল আপাতত স্থগিত রয়েছে। নদীতে ড্রেজিংয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিআইডব্লিওটিকে বলা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’