বিডি প্রতিবেদক :কক্সবাজার শহরে পাঁচ বছরে মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বেলা সাড়ে ১২ টায় পুলিশ এ তথ্য জানালেও শনিবার বিকালে কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আবছার।
আটক ১৮ বছর বয়সী যুবক ওই এলাকার বাসিন্দা। সে কক্সবাজার সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
ভূক্তভোগী মেয়ে শিশুটিও (৫) আটক যুবকের প্রতিবেশী।
পুলিশ জানিয়েছে, ভূক্তভোগী শিশুটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভূক্তভোগী শিশুর স্বজনদের বরাতে নুরুল আবছার বলেন, শনিবার বিকালে কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতে ঘটনায় জড়িত এক যুবককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে থানায় নিয়ে আসে।
উপ-পরিদর্শক বলেন, ” এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভূক্তভোগী শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে স্বজনরা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। শিশুটি এখন সেখানে ওসিসি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। ”
ভূক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, শনিবার বিকালে তার স্ত্রী প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়ীতে কাজে যান। এসময় তার মেয়েকে প্রতিবেশী মাদ্রাসা পড়ুয়া এক যুবক ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। পরে তার (অভিযুক্ত যুবক) বাড়ীতে বাবা-মার অনুপস্থিতির সুযোগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
” ঘটনার সময় অভিযুক্ত যুবকের বাড়ী লাগোয়া জনৈক কুলসুমা আক্তারের ঘরে অবস্থান করছিলেন মনোয়ারা বেগম নামের এক নারী। এসময় মনোয়ারা পাশের ঘরে মেয়ে শিশুর শোর-চিৎকার শুনতে পেয়ে সন্দেহ জাগে। পরে তিনি বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি দেখতে পায়। ”
শিশুটির বাবা আরও বলেন, ” এক পর্যায়ে প্রতিবেশী আত্মীয়ের বাড়ী থেকে আমার স্ত্রী ফিরে মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করে। এতে মায়ের ডাক শুনে মেয়েটি চিৎকার দিয়ে উঠে। এসময় অভিযুক্ত যুবকটি ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে। এরপর আমার মেয়েকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ”
ঘটনাটি ৯৯৯ ফোন নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করেন এবং পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলেন, ভূক্তভোগী শিশুর বাবা।
” আটক যুবক পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে অভিযুক্ত যুবক ২/৩ ধর্ষণের তথ্য পুলিশের কাছে দিয়েছে। ”
তিনি জানান, রোববার সকালে ঘটনায় জড়িত যুবককে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হওয়া এক মেয়ে শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ভূক্তভোগীর শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
শিশুটির শারীরিক আলামতের পরীক্ষার মেডিকেল প্রতিবেদন হাতে আসার পর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান আরএমও।
এসআই নুরুল আবছার জানান, ঘটনায় ভূক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রোববার সকালে একজনকে আসামি করে থানায় এজাহার দিয়েছেন। ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্তের পর মামলাটি নথিভূক্ত করা হবে।