বিডি প্রতিবেদক নাইক্যাংছড়ি :
পশু পাচারের জোন পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার- বাংলাদেশ সীমান্তের জামছড়ি পয়েন্টে স্থলমাইন বিষ্ফোরণে ‘ পা ‘ গেলো গরু কারবারী বেলাল হোসেনের।
১৬ নভেম্বর ( বুধবার ) উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্তের ৪৪ ও ৪৫ নম্বরের পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত গরু ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্বহাজির পাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
তিনি ককসবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউপি সূত্র মতে, নাইক্ষ্যংছড়ির ৫ টি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে প্রতিনিয়ত গবাদী পশু প্রবেশ করে। তন্মধ্যে সীমান্তের সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জামছড়ি নামক এলাকার ৪৪ও ৪৫ সীমান্ত পিলার পয়েন্ট অন্যতম । আর এ পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে গরু আনতে যায় বেলাল। প্রতিদিনকার ন্যায় বুধবার ভোরেও তিনি দলবল নিয়ে যায় সেখানে। সেখানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরকান বাহিনী কর্তৃক পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণ ঘটে । এতে তার বাম ‘পা’ উড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।
এবিষয়ে সীমান্তের ৪৫ পিলারের কাছাকাছি বসবাসকারী ছৈয়দ আলম বলেন, এই পয়েন্ট দিয়ে গরু পাচার করতে গিয়ে প্রায়ই মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হয়। বিস্ফোরণে বিচ্ছিন্ন অনেকের হাত পা এখনো পিলারের কাছে রয়েছে।
এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন সহ বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।
তবে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি নান্টু সাহার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এবিষয়ে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।