এম কে দাশ :
ভূয়া পদবী, সঠিক সনদ ব্যতিরেখে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা দেয়ার অভিযোগে এমবিবিএস পদবী ব্যবহারকারি এক ব্যক্তিকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১৫দিন সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক। বুধবার (১৬ নভেম্বর) কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ জমজম হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ জামান।
দন্ডপ্রাপ্ত ভূয়া চিকৎসক মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের টরকীর চর এলাকার টরকী ইসলামপুরের মুহাম্মদ দিদারুল আলমের ছেলে। তাকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারায় সাজা দেয়া হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। বুধবার বিকেলেই তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে ২০১৭ সাল হতে যোগদান করে এমবিবিএস মেডিসিন চিকিৎসক হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির। কিন্তু অভিযোগ আসে তিনি ভূয়া পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এ ঘটনা গোপনে তদন্ত করে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। তথ্যের সত্যতা পেয়ে অভিযান চালান নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ জামান। অভিযানে মুহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের এনআইডি কার্ডের নামের সাথে চিকিৎসা সনদে নিজের ও বাবার নামের সাথে মিল নেই। ওনার এনআইডি কার্ডের নাম রয়েছে মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির, পিতা- মুহাম্মদ দিদারুল আলম। কিন্তু তার সনদে নাম রয়েছে হুমায়ুন কবির সরকার, পিতা- আবদুস সালাম সরকার। সনদ ও এনআইডির নামের সাথে মিল না থাকায় তাকে স্বাস্থ্য ও জীবনহানী, জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারি হিসেবে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
চকরিয়ার জম জম হাসপাতালের পরিচালক গোলাম কবির বলেন, হুমায়ুন কবির সরকার হিসেবেই তিনি আমাদের হাসপাতালের নিয়োগ পেয়েছেন। বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশনে ওনার ছবিসহ রয়েছে। কিন্তু এনআইডি ও সনদের সাথে নাম মিল না থাকার বিষয়টি আমাদের জানা ছিলোনা। তিনি অভিযানকারিদের বলেছিলেন, তার বাবা হলফনামা মূলে নাম পরিবর্তন করে দিদারুল আলম করেছেন। ওনি দুদিন সময় পেলে সব কাগজপত্র উপস্থাপন করবেন বলেছিলেন। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে হয়তো চিকিৎসতের কথাটি যৌক্তিক মনে হয়নি বলে সাজা দিয়েছেন।