শিরোনাম :
শিল্পায়নে উদ্বাস্ত হচ্ছে লবণ ও পান চাষী : হুমকিতে খাদ্য নিরাপত্তা মহেশখালী কলেজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত, মহেশখালীর কালারমারছড়ার জলদস্যু সরদার হাসান নুরী গ্রেফতার কক্সবাজারে ট্যুরিজম এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ইসলামী শ্রমনীতি ব্যতীত শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়-আব্দুল্লাহ আল ফারুক ছাত্র জনতার বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয় সুচিত- মুহাম্মদ শাহজাহান পেকুয়ায় বিরোধীয় জায়গায় স্হাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে হামলাঃ আহত ৬ কৈয়ারবিল ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানি অভিযোগ কক্সবাজার শিশু সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম এর সাধারণ সভা আজ সে ভয়াল ২৯ এপ্রিল:উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর দিন

১৭ দিন পরে বাংলাদেশী কৃষকের পর লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

নিউজ রুম / ৭৯ বার পড়ছে
আপলোড : বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর পরশুরামের বাঁশ পদুয়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত বাংলাদেশী কৃষক মেজবাহারের (৪৭) মৃতদেহ ১৭ দিন পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পরশুরামের বিলোনীয়া স্থলবন্দর দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ( বিএসএফ)। এ সময় বিজিবি – বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরশুরাম থানার ওসি মো সাইফুল ইসলাম লাশ ফেরত পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিজিবি, পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে ধান কাটছিলেন মেজবাহার। এসময় ভারতীয় বিএসএফ ওই সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে এবং মেজবাহারকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তাকে কিল-ঘুষি এবং লাথি ও অস্ত্রের আঘাত করে ভারতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। বিষয়টি এলাকার লোকজন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পরশুরাম মডেল থানা পুলিশকে জানান। ১৬ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের সমঝোতা বৈঠকের পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে থাকা মেজবাহারের লাশটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়।
ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর গুথুমা গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মেজবাহার (৪৭) কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু ব্যবসা করতেন। নিহত মেজবাহার মর্জিনা আক্তার মুন্নি (১৮), তাজনেহার আক্তার মুক্তা (১২), বিবি হাজেরা রিক্তা (১০) ও জান্নাতুল নাইমা (৬) চার কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। এক কন্যাকে বিয়ে দিলে অন্য তিনজন শিশু। লাশের অপেক্ষায় ছিলো নিহতের অবুঝ ৩টি শিশুসহ ও স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (৪২)।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর