আহমদ নেছার :
মহিষ চুরির মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। গরু ও মহিষ চুরিতে অভিযুক্ত এবং নানা অনিয়মের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় সরকার।
সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে চকরিয়া সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইনর চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মহিষ চুরির রায় দিয়েছে আদালত। এই কারণে স্থানীয় সরকার আইনের বিধি মতে চেয়ারম্যান নবী হোসেনকে বরখাস্ত করে চেয়ারম্যান শূন্য ঘোষণা করা হলো।
অভিযোগ রয়েছে, নবী হোসেন ও তার ভাইয়েরা মিলে গরু ও মহিষ চুরির বিশাল গ্যাং রয়েছে। সে গ্যাং কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন স্থান, এমনকি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে গরু ও মহিষ চুরি করে আসছিল। নবী হোসেনের এই গ্যাংটি জেলাজুড়ে গরু-মহিষ মালিকদের জন্য এক মুর্তিমান আতঙ্ক। অসংখ্য চুরির ঘটনা ঘটালেও অনেক ঘটনায় ধরা পড়েছে চোর চক্রের সদস্যরা। এসব ঘটনায় নবী হোসেনসহ তার গ্যাংয়ের সদস্যের বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৫ জুন মহেশখালীর কুতুবজোমে থেকে ১৮টি মহিষের একটি পাল চুরি করে নবী হোসেনের চোর চক্র। এই ঘটনায় নবী হোসেন ওরফে নইব্যা চোরা তার ভাই লেদু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর কারাগারে যায় নবী হোসেন।