আহসান সুমন :
২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা।
ইতোমধ্যে একজন পরিশ্রমি, উদার মনের মানুষ ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
স্কুল জীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করে ৩২টি বসন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা তলে কাটিয়ে দিয়েছেন এই রাজনীতিবীদ। নিজেকে উৎসর্গ করে সহায় সম্পত্তি বিসর্জন দিয়ে রাজনীতি করে আসা নুরুল হুদাকে পুরস্কার স্বরূপ সাধারণ মানুষও ভালবেসে বানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি।
দলের কঠিন মুহুর্তে জীবনবাজি রেখে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা সাবেক এই ছাত্রনেতা শুনিয়েছেন তার দুঃসময়ের সেই গল্প।
১৯৯৮ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর কাঙ্গালী ভোজে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক বিষ প্রয়োগের আলোচিত সেই মামলার বাদী হয়েছিলেন তৎকালিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল হুদা। অথচ, তখন আজকের রথি মহারথিদের কেউই আলোচিত এই মামলার বাদী হওয়ার সাহস করেননি।
এতো গেলো বাদী হওয়ার গল্প।
এবার অসংখ্য মিথ্যা মামলা-হামলার আসামীর তালিকায় নাম লিখিয়ে কত শত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন নুরুল হুদা সেই হিসেব না হয় বাকিই রেখে দিলাম। যারা সবকিছু জানেন তাঁরা ঠিকই বুঝে নিবেন নিশ্চয়।
দলের মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশে থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের চরম বিপদ মুহুর্তের অগ্রভাগে থাকতেন তিনি। ফলে রত্নাপালং ইউনিয়নের ইতিহাসে প্রথমবার শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নুরুল হুদা। যা স্বাধিনতার পর কেউ দেখাতে পারেননি।
এই নুরুল হুদার হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে এসে সফলতা দেখেছেন অগনিত নেতাকর্মী। এমনকি আমি নিজেও তাঁর হাতে গড়া একজন। জীবনে প্রথম ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে মুজিব আদর্শের অনুসারী হয়েছি চাচার হাত ধরে। মিছিলের শ্লোগান, সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সাহস যুগিয়েছেন চাচা। ওনি আমার আদর্শ, আমার রাজনীতির শিক্ষাগুরু।
বর্তমানেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মূল দায়িত্ব পালনকারীদের বেশীর ভাগই রাজনৈতিক এই শিক্ষকের সফল ছাত্র।
সারাজীবন রাজনীতির পরিক্ষা নিয়ে এবার নিজের একটা পরিক্ষা দেবার পালা এসেছে সেই নুরুল হুদার।
নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে।
উপজেলা এবং ৫ ইউনিয়নের কাউন্সিলর-ডেলিকেটদের কাছে বিনয়াবনত: ত্যাগের মূল্যায়ন আশা করছেন রাজপথের সোনালী অর্জন জননেতা নুরুল হুদা।
আশা করি তাঁরা সঠিক এবং যোগ্য নেতৃত্ব চিনতে ভুল করবেন না।
শ্রদ্ধেয় চাচার জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।
লেখক: স্টাফ রিপোর্টার এস এ টেলিভিশন