কক্সবাজারে হোটেলে মা মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে স্বামী গ্রেফতার : রাগের মাথায় স্ত্রী কে গলা চেপে হত্যার কথা স্বীকার

নিউজ রুম / ১২ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

“হোটেল কক্ষে ফিরে মেয়েকে বালতির ভিতরে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে রাগের মাথায় স্ত্রী গলা চেপে হত্যা করা হয়েছে”- পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে এমনটি স্বীকারোক্তি দিয়েছে, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে মা ও কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার পলাতক স্বামী জেমিন বিশ্বাস।
ঘটনার পর থেকে জেমিন অপর দুই সন্তানকে নিয়ে পলাতক ছিলেন।
শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৩ চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানা এলাকার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মার্শা পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম।
গ্রেপ্তার জেমিন বিশ্বাস (৪০) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈন্ডব এলাকার দুলাল বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতরা হল- জেমিনের স্ত্রী সুমা দে (৩৬) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দে’র মেয়ে এবং তার আট মাস বয়সি এক মেয়ে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল সি আলিফ এর ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা ( জেমিন ও সুমা ) তিন সন্তানকে নিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সাগরপাড়ের আবাসিক হোটেল সী আলিফে উঠেন।
ওসি আব্দুর রহিম বলেন, শুক্রবার কক্সবাজার শহরের এক আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে ঘটনায় পলাতক স্বামী জেমিন বিশ্বাস চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে তথ্য জানায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ। পরে শনিবার ভোর রাতে ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারের পর জেমিনের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, ” সুমা দে আগে থেকেই রক্তচাপ জনিত অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সুমা অসুস্থবোধ করলে জেমিন শুয়ে থাকতে পরামর্শ দেন। পরে তিনি (জেমিন) প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ে এবং সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া আরেক মেয়েকে নিয়ে নাস্তা আনতে হোটেল থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে দুই সন্তানকে রেখে স্ত্রীকে দেখার কথা বলে হোটেল কক্ষে যান।
” জেমিন হোটেল কক্ষে ফিরে স্নানকক্ষের বালতির পানিতে ছোট মেয়েকে মৃত অবস্থায় এবং স্ত্রীকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় রাগের মাথায় জেমিন তার স্ত্রীকে কাধে হাত দিয়ে ঘুষি মারেন এবং পরে গলা চেপে হত্যা করেন। ”
আব্দুর রহিম জানান, ঘটনার পর জেমিন বিশ্বাস দুই সন্তানকে নিয়ে বাঁশখালী ফিরেন আসেন। পরে সেখানে জনৈক আত্মীয়ের বাড়ীতে সন্তানদের রেখে শুক্রবার রাতে আত্মগোপনের উদ্দ্যেশে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, শনিবার ভোর রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা পুলিশ জেমিন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকলিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে।
জেমিন বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে জানান এসপি।
“হোটেল কক্ষে ফিরে মেয়েকে বালতির ভিতরে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে রাগের মাথায় স্ত্রী গলা চেপে হত্যা করা হয়েছে”- পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে এমনটি স্বীকারোক্তি দিয়েছে, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে মা ও কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার পলাতক স্বামী জেমিন বিশ্বাস।
ঘটনার পর থেকে জেমিন অপর দুই সন্তানকে নিয়ে পলাতক ছিলেন।
শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৩ চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানা এলাকার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মার্শা পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম।
গ্রেপ্তার জেমিন বিশ্বাস (৪০) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈন্ডব এলাকার দুলাল বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতরা হল- জেমিনের স্ত্রী সুমা দে (৩৬) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দে’র মেয়ে এবং তার আট মাস বয়সি এক মেয়ে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল সি আলিফ এর ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা ( জেমিন ও সুমা ) তিন সন্তানকে নিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সাগরপাড়ের আবাসিক হোটেল সী আলিফে উঠেন।
ওসি আব্দুর রহিম বলেন, শুক্রবার কক্সবাজার শহরের এক আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে ঘটনায় পলাতক স্বামী জেমিন বিশ্বাস চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে তথ্য জানায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ। পরে শনিবার ভোর রাতে ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারের পর জেমিনের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, ” সুমা দে আগে থেকেই রক্তচাপ জনিত অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সুমা অসুস্থবোধ করলে জেমিন শুয়ে থাকতে পরামর্শ দেন। পরে তিনি (জেমিন) প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ে এবং সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া আরেক মেয়েকে নিয়ে নাস্তা আনতে হোটেল থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে দুই সন্তানকে রেখে স্ত্রীকে দেখার কথা বলে হোটেল কক্ষে যান।
” জেমিন হোটেল কক্ষে ফিরে স্নানকক্ষের বালতির পানিতে ছোট মেয়েকে মৃত অবস্থায় এবং স্ত্রীকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় রাগের মাথায় জেমিন তার স্ত্রীকে কাধে হাত দিয়ে ঘুষি মারেন এবং পরে গলা চেপে হত্যা করেন। ”
আব্দুর রহিম জানান, ঘটনার পর জেমিন বিশ্বাস দুই সন্তানকে নিয়ে বাঁশখালী ফিরেন আসেন। পরে সেখানে জনৈক আত্মীয়ের বাড়ীতে সন্তানদের রেখে শুক্রবার রাতে আত্মগোপনের উদ্দ্যেশে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, শনিবার ভোর রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা পুলিশ জেমিন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকলিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে।
জেমিন বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে জানান এসপি।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর