রহমান তারেক :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা। কক্সবাজারের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অলসতা দূরীকরণে নানাভাবে সহযোগিতা করছে কর্ডেইড বাংলাদেশ। কর্ডেইডের সহযোগিতায় উখিয়া-টেকনাফে বসবাসরত রোহিঙ্গা ছাড়াও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। আর তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা।’
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জার্মান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জিআইজেড) এর সহায়তা ও কর্ইডেড এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘লাইভলিহুড সাপোর্ট ইন্টারভেনশনস্ ২০২০-২০২৩ লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘কর্ডেইড যে মানুষগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছে সেসব উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম ও তাদের লাভজনক অবস্থার কথা জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। কর্ডেইড এর সহযোগিতায় মানুষগুলো দারিদ্রতা বিমোচন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এসব ইতিবাচক কাজের জন্য কর্ডেইড প্রশংসার দাবি রাখে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করে যে নারী-পুরুষ আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। বেকার থাকার চেয়ে কোন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারা সফলতার ধাপ। আর এই ধাপে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কর্ডেইড যে কাজ করে যাচ্ছে তা অত্যন্ত উপযোগী।’
কর্ডেইড এর ক্লাস্টার ডিরেক্টর লেনেকে ব্রামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাসিম আহমেদ, জিআইজেড এর হেড অফ প্রোগ্রাম আলেকজান্ডার ব্যাথ, সিনিয়র অ্যাডভাইজার স্বপন কুমার সূত্রধর প্রমুখ।
এ সময় উপকারভোগী নারী-পুরুষরা কর্ডেইড এর সহযোগিতার কথা জানান। তারা কিভাবে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তা উপস্থিত অতিথিদের সামনে বর্ণনা করেন। তাদের দুঃসময়ে তারা কর্ডেইডকে পাশে পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে তাদের কাজের পরিধিকে বাড়ানোর জন্য কর্ডেইডের আরও সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় টেকনাফের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।