বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের টেকনাফে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তকালে পেটে মিলেছে ৮ পোটলা ইয়াবা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত উদ্ধার মাসুদ রানা ওরফে ইদ্রিস পাটোয়ারি (৩০) রাজবাড়ী জেলার আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর এলাকার মৃত মান্নান ব্যাপারীর ছেলে।
সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্ল্যাডেবা নামক এলাকা থেকে মাসুদ রানা ওরফে ইদ্রিস পাটোয়ারি (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডা. আশিকুর রহমান বলেন, দুপুরে টেকনাফ থানা পুলিশ প্রেরিত ৩০ বছর বয়সের এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়। পরে বিকাল ৩ টায় মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
” ময়নাতদন্তে যুবকের পেটের ভিতরে স্কচস্টেপ ও কনডম মোড়ানো অবস্থায় ৮ পোটলা ইয়াবা পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে ২/৩ টি পোটলা গলিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ কারণে কি পরিমাণ ইয়াবা রয়েছে তার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। ইয়াবার পোটলাগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ”
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা বলেন, ” প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- পেটের ভিতর গিলে ফেলা ইয়াবার পোটলা ফেটে যাওয়ার কারণে বিষক্রিয়ায় হয়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুবকের অন্ত্র (পাকস্থলী থেকে পায়ু পর্যন্ত লম্বা প্যাচানো নালি) ফেটে গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বিস্তারিত উল্লেখ করা হবে। ”
টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, এক ব্যক্তির বসত ঘরে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার একজনের মরদেহ পড়ে থাকার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় শান্তি দেবীর মালিকাধীন জনৈক মোহাম্মদ আজিজের ভাড়া বাসার রান্না ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, “গত আড়াই বছর আগে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মাঝেরপাড়ার জনৈক অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আজিজ বাসাটি ভাড়া নেয়। তবে বাসায় আজিজ ছাড়া পরিবারের অন্য কেউ থাকতো না। আর মাসুদ রানা মাঝে মধ্যে বাসাটিতে আসা-যাওয়া করতো।”
আব্দুল হালিম জানান, ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আজিজ পলাতক রয়েছে। রহস্য বের করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসাটির মালিকের ছেলে সুমন দেবকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।