বিডি প্রতিবেদক :
বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। নেমে গেছে সংকেত। এরপর কেটে গেছে ৩ দিন। তবুও কাটেনি এর রেশ। এখনো উত্তাল সমুদ্র । তাই মোখা পরবর্তী টানা ৩ দিন ধরে সাগর তীরে উঠছে লাল নিশান। শান্ত সমুদ্রের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী সহ পর্যটন সেবীরা।
বুধবার বিকাল ৪ টায় কক্সবাজার সমুদ্র সেকতে গিয়ে দেখা যায় সৈকতে তেমন লোকজন নেই। তবে সর্তকাবস্থায় বীচ কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যরা। সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টে উঠছে লাল পাতাকা।
এবিষয়ে সী সেইভ লাইফগার্ডের কর্মী জাফর আলম বলেন, মোখার রেশ এখনো কাটেনি। গত তিনদিন ধরেই সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। তাই এক মুহুর্তের জন্য সৈকত থেকে লাল পতাকা সরানো হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যটক তেমন নাই। মোখার পরে সমুদ্র তীরবর্তী সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এখনো খুলেনি। সৈকতে এখন যেই ৪/ ৫ শ লোকজন দেখছেন বলা চলে তাদের সকলের কক্সবাজারের। হাতে গোনা কয়েকজন হয়ত পর্যটক রয়েছে।
সূত্র জানায়, গেল শনি ও রবিবার সৈকতে পর্য়টক গমনে নিষেধজ্ঞা থাকলেও সোমবার থেকে সেই নিষেধজ্ঞা তুলে ফেলে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তবুও উত্তাল সমুদ্র, চলমান এসএসসি পরীক্ষা সহ নানা কারণে এখন পর্যটক শূন্য ছিল কক্সবাজার সৈকত। ধীরে ধীরে সমুদ্র শান্ত হলে ও পরীক্ষা শেষ হলে পর্যটকের আগমন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পরে পর্যটক তেমন নাই। তাছাড়া এখন তো সবকিছু খোলা, আবার এসএসসি পরীক্ষা চলছে। সাপ্তাহিক বন্ধ হলে কিংবা পরীক্ষা শেষ হলে আশা করছি কিছু পর্যটকের আগমন ঘটবে।
সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, লাবনী, কলাতলী ও সীগাল পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, গুটি কয়েক ও পর্যটক ও শ তিনেক স্থানীয়রা ঘুরে বেড়াচ্ছেন সৈকতে। হকার, ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক, জেটস্কির তেমন উৎপাত নেই। তারা নিজেরা দলবদ্ধভাবে আড্ডা দিচ্ছে।
ওই সময় সৈকতের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফার শফিউল বলেন, সকাল থেকে একজন গেষ্টও পাইনি। বাসায়ও যেতে ইচ্ছে করছে না। তাই এখানে বসেই আড্ডা দিচ্ছি।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী থেকে থেকে স্বপরিবারে সমুদ্র সৈকতে আসা হাফেজ সোলাইমান বলেন, এমন ফাঁকা সমুদ্র সৈকত কখনো দেখিনি। বাইরের লোক না থাকলে তো স্থানীয় লোকজনে ভরা থাকে। আজ তাও নেই। তবে জট হীন এই সমুদ্রে ঢেউয়ের আওয়াজ গুলো শুনতে কিন্তু ভালই লাগছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট ( এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, সৈকতের সকল ধরণের সেবা চালু করা হয়েছে।