স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রতি সপ্তাহের যেকোন দিন কিংবা রাতে সংরক্ষিত রির্জাভ বনভূমি থেকে শতবর্ষী মাদার ট্রি গর্জন আর সেগুন গাছ কেটে বন উজাড় করেছেন বনদস্যূরা।বনদস্যূদের দস্যূতার প্রশ্রয়দাতা হলো অসাধু গাছ ব্যবসায়ী।তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ মে রাতে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব-ডুমখালী,রির্জাভ পাড়া এলাকার নুরুল আলমের দোকানের উত্তরপাশ থেকে একটি শর্তবষী মাদার ট্রি গর্জন গাছ কেটে বৈদ্যুতিক তার আর খুঁটির ক্ষতি করে,গাছটি সরিয়ে ফেলে দস্যূরা।র্দূভাগ্য হলো সত্যি গাছটি উদ্ধার করতে গেলে বনকর্মী ও বনকর্মকর্তার জীবন বিপর্যস্ত হতো বলে জানিয়েছেন স্হানীয় সচেতন মহল।
স্হানীয়রা সচেতন মহল থেকে জানা গেছে,পূর্বডুমখালী রির্জাভ পাড়া এলাকার কয়েকজন শীর্ষ ডাকাত আর বনদস্যূদের ডনরা জেল হাজত থেকে ফিরে আসার পর ডাকাতদের উত্তরসূরিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।যে কারণে এলাকার নিরহ সাধারণ মানুষ ভয়ে তটস্থ।এখানে বন সম্পদ রক্ষাকারী বনকর্মী,তথ্য সংগ্রহকারী,পুলিশও তাদের হাতে নাজাহাল হয়েছেন।তাই এইখানকার বনভূমির সম্পদ রক্ষা মানে জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার শঙ্কা বিদ্যামান।এই সম্পদ রক্ষা করতে হলে বনবিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে।এইখানকার পাশাপাশি সোয়াজানিয়ার পূর্বপাশে মহাসড়কের পূর্বের বনভূমির বাগানের অবস্হাও বেগতিক।
গত ৬মে পূর্বডুমখালী- রির্জাভ পাড়া নামক এলাকাতে স্হাপনা উচ্ছেদ ও কর্তনকৃত গাছ উদ্ধার করতে যান বনবিভাগের লোকজন।এসময় তাদের ধাওয়া করে দিন-দুপুরে গুলি করে-করে রেঞ্জ অফিসের দিকে নিয়ে আসেন বনদস্যূ ও চিহৃিত ডাকাতেরা।পরে বনবিভাগের লোকজন পালিয়ে অফিসেও বাঁচতে না পারায় পরে তারা পাল্টা গোলাগুলি করেছেন।এসময় পাঁচজন কর্মী ও বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছিল।
গাছ ফেলে বৈদ্যুতিক তার ছিড়া আর খুঁটি ভাঙ্গার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনর্চাজ অচিন্ত কুমার।
গাছ উউদ্ধারের বিষয়ে ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা অবনি কুমার রায় বলেন,আমিতো ৩/৪দিন ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা,অসুস্থ।স্ব-কৌশলে গাছ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ফাঁসিয়াখালী ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন,পূর্বডুমখালীর রির্জাভ পাড়া নামক এলাকাটি ডাকাত আর বনদস্যূদের ভরপুর।গত ৬মে বিকেল ৩টার দিকে বনদস্যূদের কর্তনকৃত গাছ উদ্ধার ও নতুন স্হাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়েই তাদের গুলি আমার পাঁচজন বনকর্মী সহ কয়েকজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।সুতরাং এলাকাটি যেন বনদস্যূর আস্হানা আর অস্ত্র রাখার নিরাপদ স্হান।তাই গাছ কাটার খবরটি সম্প্রতি শোনেছি।উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।কারণ ঐস্হানে আর সহজেই যেমন-তেমনভাবে প্রবেশ মানেই বিপদ।একথা সবার জানা আছে।তাছাড়া এই এলাকার আরেক বনদস্যূ কলিমউল্লাহকে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ স্ব-কৌশলে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।